দখল: রাজ্য সড়কের উপরে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
রাজ্য সড়ক দখল করে পুজো মণ্ডপ তৈরি করার অভিযোগ উঠল আরামবাগ শহরের গৌরহাটি মোড় সংলগ্ন দুয়ের পল্লি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে। ফুটপাতের পুরোটা দখলের পরেও মূল পিচ রাস্তার প্রায় দু’ফুট নিয়ে বাঁশ পোঁতা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলার সঙ্গে যু্ক্ত সংশ্লিষ্ট আরামবাগ থেকে তারকেশ্বর বা কলকাতা যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে এই মণ্ডপ তৈরি নিয়ে প্রতি বছর আপত্তি উঠলেও তা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে পূর্ত দফতর-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন শহরবাসী এবং গাড়িচালকেরা। এমনকি, আরামবাগ ট্রাফিক বিভাগ থেকেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, সরকারি ভাবে এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ তথা ‘ব্ল্যাক স্পট’ বলে চিহ্নিত। তারপরেও সেখানে অনুমতি দেওয়া হয় কী করে?
রাস্তাটির কিছুটা নিতে হয়েছে স্বীকার করে পুজো কমিটির সম্পাদক সুবীর দে বলেন, “এ বার ৪৫ বছরে পা গিয়েছে পুজো। পুজো এখানেই বরাবর হয়। মণ্ডপ সরানোর বিকল্প জায়গা মেলেনি। পূর্ত দফতর এবং পুলিশের শর্ত মেনেই পুজো করি। যান চলাচল বিঘ্নিত হতে দিই না।”
সব দিক খতিয়ে দেখে পুজোর চৃড়ান্ত ছাড়পত্র দেয় মহকুমা প্রশাসন। রাস্তাটির দায়িত্বে থাকা মহকুমাপূর্ত দফতরের (নির্মাণ) সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুমন্ত প্রামাণিক বলেন, “পুরনো পুজো বন্ধ করা যায়নি।বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে পুজোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেইসব শর্ত মেনেই ওই পুজো কমিটিকে চলতে হবে।”
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্তগুলির অন্যতম, রাস্তার পিচ ঢালা অংশ থেকে তফাতে মণ্ডপ করতে হবে। পরিবহণ ব্যবস্থা মসৃণ রাখতে হবে এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, পিচরাস্তার দু’ফুট দখল হয়েছে। পিচের অংশে গর্ত করে বাঁশের খুঁটি পুঁতে মণ্ডপের কাজ চলছে। বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন সুমন্তবাবু।
রাস্তা দখল করে মণ্ডপ নিয়ে এসডিপিও(আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, “যাদের জায়গা তাদের ছাড়পত্র থাকলে পুলিশ থেকে আপত্তি তোলা হয় না। তবে যানজট হতে দেওয়া চলবে না।”