Haripal

ফের হামলা, দলের প্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ তৃণমূল নেত্রীর

আমপান ঝড়ে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে পড়ে যাওয়া গাছ বেআইনি ভাবে বিক্রির প্রতিবাদ করে দলের একাংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন শম্পা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৭
Share:

পড়ে রয়েছে কাটা গাছ। নিজস্ব চিত্র

হরিপালে শাসকদলের জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাসের বাড়িতে ফের হামলা ও তাঁদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই স্থানীয় আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকার এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালের ঘটনা। শম্পা ও তাঁর স্বামী মনোজিৎ দাস পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

হুগলি গ্রামীণের এসপি আমনদীপ বলেন, ‘‘তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কেউ রেহাই পাবে না।’’ তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায় জানান, ঘটনাটি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। অন্যায় হলে প্রতিকারের চেষ্টা করবেন। সুমিত অভিযোগ মানেননি। শম্পা-মনোজিতের বিরুদ্ধে গাছ কাটা ও মারধরের পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

আমপান ঝড়ে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে পড়ে যাওয়া গাছ বেআইনি ভাবে বিক্রির প্রতিবাদ করে দলের একাংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন শম্পা। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। শম্পার অভিযোগ, এর পর থেকেই নানা অছিলায় হরিপালে দলের একাংশ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে নানা ভাবে হেনস্থা করছে। তাঁর বাড়ির এক দিকের রাস্তায় ১০০ দিনের প্রকল্পের মজুরদের দিয়ে গাছ বসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে, দীর্ঘদিন তিনি গাড়ি বের করতে পারছেন না। তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।

Advertisement

সম্প্রতি হুগলির জেলাশাসককে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেয় আদালত। শম্পা জানান, তাঁর দরজার সামনে থেকে গাছ সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ব্লক ভূমি আধিকারিক জমি মেপে জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। শম্পা বলেন, ‘‘রবিবার আমাদের বাড়ির সামনে থেকে গাছ সরিয়ে অন্যত্র পোঁতার ব্যবস্থা করার পরেই দলবল নিয়ে হামলা চালান প্রধান। স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়ি ঘিরে রাখা হয়। চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে যেতে পারিনি। পুলিশকে সব লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আশা করছি, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’

সুমিতের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমার গাছ কাটা নিয়ে অনেক কথা যাঁরা বলেছিলেন, তাঁরাই সরকারি জায়গায় থাকা ১১টি গাছ কেটে ফেলেছেন। আমাদের এক জনকে এমন মারধর করেছেন যে, চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। কিন্তু, কোনও প্রতিকার হল না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement