ট্রেনের চাকায় শিকল পড়াছেন রেলকর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু দূরপাল্লার এবং লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল। এ বার শালিমার স্টেশনের রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় বেঁধে দেওয়া হল চেন-তালা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শালিমার স্টেশনের ম্যানেজার সন্দীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ঝড়ের দাপটে দাঁড়িয়ে থাকা কামরা গড়িয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রেলের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে বগিগুলোর চাকা চেন-তালা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ হবে। শুক্রবার ঝড়ের গতিবেগ কিছুটা কমতে পারে। ওই দিন সকালে ৯৫ থেকে ১০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় চলতে পারে। রাতে ঝড়ের গতি কমে হবে ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার।
সাবধানতা অবলম্বনে বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন। পূর্ব রেল জানিয়েছে, শিয়ালদহ বিভাগে দুর্যোগের আশঙ্কায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০টি লোকাল ট্রেন। তবে সব ট্রেনই শিয়ালদহ দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখার। বুধবার শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদহ দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকেই শিয়ালদহের উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। শিয়ালদহের ডিআরএম আরও জানিয়েছেন, একই সঙ্গে হাসনাবাদ শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হাসনাবাদের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদহ থেকে।
২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেসও বাতিল থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস, পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস, পটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, বেঙ্গালুরু-মুজফ্ফরপুর এক্সপ্রেস, মালদহ টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদহ টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, আসানসোল-হলদিয়া এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার আসানসোল-হলদিয়া, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস এবং পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল বাতিল করা হয়েছে।