নিজস্ব চিত্র
পথেঘাটে বেরোনো দায় এখন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আচমকা গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড়াচ্ছে আঁচরাচ্ছে। মাথায় উঠেছে বাজারে শাকসব্জি নিয়ে বসাও। লাফিয়ে পড়ে হাতের সামনে গাজর, কলা যা পাচ্ছে, তাই তুলে খেয়ে নিচ্ছে। দলছুট হনুমানদের জ্বালায় একেবারে অতিষ্ঠ হুগলির চুঁচুড়া। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় আবার শিয়ালের উপদ্রবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিশু, মহিলা-সহ অন্তত ১০ জন শিয়ালের হামলার শিকার হয়েছেন।
গত কয়েক দিন ধরেই চুঁচুড়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড ব্যান্ডেল-গোপীনাথপুর এলাকায় দলছুট হনমানদের হামলায় আহত হয়েছে বেশ কয়েক জন। হনুমানের আঁচড় খাওয়ার ভয়ে এক বধূর ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে দাবি স্থানীয়দের। গোপীনাথপুরের বাসিন্দা রাজু সাহা বলেন, ‘‘ছেলেকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড়ে দেয় হনুমান। কী মুশকিল বলুন তো! এদের জ্বালায় বাইরে বেরোতে পারছি।’’ খবরও দেওয়া হয়েছে বন দফতরে। হনুমান ধরার জন্য বুধবার সকালে কয়েকটি বাড়ির ছাদে লোহার খাঁচা পেতে দিয়ে গিয়েছে বনকর্মীরা। বনদফতর সূত্রে খবর, খাঁচা দিয়ে হনুমানদের বাগে আনা সম্ভব না হলে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে তাদের কাবু করা হবে।
এ দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দেগঙ্গার হাদিপুরের সিংহের আটি ও কালীতলা এলাকায় শিয়ালের হানা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সিংহের আটি এলাকায় সাত জনের শরীরে কামড় বসিয়েছে শিয়াল। আহতদের মধ্যে এক জন মহিলা ও এক শিশু রয়েছে। কালীতলায় জখম অন্তত পাঁচ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শিয়ালের উপদ্রব রুখতে লাঠি হাতে পাহাড়া দিচ্ছেন স্থানীয় যুববকেরা। হাদিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হারান দাস বলেন, ‘‘সিংহের আটি ও কালীতলা এলাকায় অনেকে আহত। বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছে। দিনের বেলা ঘরের মধ্যে ঢুকে হামলা করছে শিয়াল। স্থানীয়েরা খুবই আতঙ্কে আছেন।’’