হুগলি জেলার কন্যাশ্রী প্রথম পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
উদ্ভাবনী নানা অনুশীলন এবং সার্বিক কর্মক্ষমতা রূপায়ণের বিচারে হুগলি জেলা এ বার ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে প্রথম স্থান অধিকার করল। প্রকল্পের দশ বছরে গত ১৪ অগস্ট কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে কলকাতার আলিপুরে একটি প্রেক্ষাগৃহে জেলার নোডাল অফিসারের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলা প্রশাসনের দাবি, এই প্রকল্পের ফলে নাবালিকা বিয়ে বন্ধের হার যেমন কমেছে, তেমনই ছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী হওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। সর্বোপরি স্কুলগুলির সঙ্গে প্রশাসনের নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করা গিয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সন্দীপকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, “এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রকল্পের আওতায় আরও নতুন নতুন বিষয় আনা হবে।’’
মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে রোখা এবং স্বনির্ভর হওয়র লক্ষ্যে এই প্রকল্পে ছাত্রী-পিছু এককালীন ২৫ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে পথচলা শুরু এই ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের। হুগলির সাফল্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল, ছাত্রীদের অনুদানের লক্ষ্যমাত্র পূরণের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে ৬০০-র বেশি ‘কন্যাশ্রী ক্লাব’। এর মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো ও নানা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেয়েদের সামাজিক ও মানসিক ক্ষমতায়ন নিয়ে সজাগ করাও চলেছে জোর কদমে।
জেলা পুরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তজাতিক স্তরে তায়কোয়ন্দো প্রতিযোগিতায় ভাল ফলের জন্য ওই অনুষ্ঠানে মন্দিরা মণ্ডল নামে পান্ডুয়া ব্লকের তিন্না ইলামপুর পঞ্চানন স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অন্য দিকে, ‘কন্যাশ্রী দিবস’ উপলক্ষে হুগলি জেলার নিজস্ব অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং সামাজিক সচেতনায় বিশেষ অবদানের জন্য সমাজ কল্যাণ দফতর থেকে পুরস্কৃত হলেন জেলার পাঁচ শিক্ষক। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জেলাশাসক পি দীপপ্রিয়া পুরস্কৃত করেন পুরশুড়ার ভাঙামোড়া এনকেএনসিএম ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক উৎপল রক্ষিত, খানাকুল-১ ব্লকের মাঝপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সিঙ্গুরের নন্দহরিমতি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক অর্ণব মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়ার নবগ্রাম শিশু ভারতী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মণ্ডল এবং পান্ডুয়ার ভাটিসান গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুপর্ণা সাহাকে।