Santragachi

দখলদারের ভিড়ে সঙ্কীর্ণ আন্দুল রোডই সাঁতরাগাছি সেতুর বিকল্প

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘বিষয়টা আমাদেরও ভাবাচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে রাস্তা চওড়া করতে হকারের দখলমুক্ত করার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে যানজটের আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে।’’

Advertisement

দেবাশিস দাশ

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১০:০৮
Share:

সাঁতরাগাছি সেতু। ফাইল চিত্র।

সাঁতরাগাছি সেতুর মেরামতির কাজ শুরু হলে যানজট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ঠেকাতে পরিকল্পনা হয়েছিল, ওই কাজ শুরুর আগেই বিকল্প রাস্তা হিসাবে আন্দুল রোড চওড়া করা হবে। বকুলতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মৌড়িগ্রাম পর্যন্ত বেদখল হয়ে থাকা ওই রাস্তার ধারের দখলদারদের হটানো হবে। কিন্তু পরিকল্পনাই সার। সাঁতরাগাছি সেতু বন্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেও ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির দু’পাশ দখলমুক্ত হয়নি। ফলে চওড়া করার কোনও উপায় নেই। বরং আন্দুল রোড পুরো মেরামত না করে কয়েক জায়গায় তাপ্পি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেতুর কাজ শুরু হলেই আন্দুল রোডে রাতদিন তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশ প্রশাসন।

Advertisement

আগামী সপ্তাহ থেকে সাঁতরাগাছি সেতুর সব ক’টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট পাল্টানোর জন্য অর্নিদিষ্টকাল সেতুর লেন বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে ভারী গাড়ি ও তেলের ট্যাঙ্কারের মতো গাড়ির চলাচল। বিকল্প রাস্তা হিসাবে আন্দুল রোড দিয়ে সেই সব গাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

শনিবার সেই আন্দুল রোডে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার দু’পাশে ইট-বালির স্তূপ এবং খোয়া পড়ে রয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ীরা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন। যার ফলে সঙ্কীর্ণ রাস্তা আরও অপরিসর হয়েছে। এমনকি ফুটপাতের এক-এক জায়গায় স্তূপীকৃত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা পড়ে রয়েছে। এমনই এক নির্মাণ ব্যবসায়ী স্বপন মালাকারের দাবি, ‘‘গত ৩৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। কারও কোনও সমস্যা হয়নি। পুলিশ-পঞ্চায়েত সব জানে।’’

Advertisement

এলাকার দীর্ঘদিনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের এক ভাই নিজে রাস্তার উপরে নির্মাণ সামগ্রী রেখে গোলা চালান। একটি ক্লাব বেআইনি ভাবে রাস্তা দখল করে বাজার বসিয়ে তোলা তোলে। সরকারি রাস্তায় হোর্ডিং ভাড়া দিয়ে টাকা তোলে একটি চক্র। সবটাই এলাকার বাসিন্দারা জানেন। কিন্তু সাহস করে কেউ প্রতিবাদ করেন না।’’

অথচ, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পরে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে সারা দিনে হাজার হাজার গাড়ি যায়। মৌিড়গ্রাম ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কয়েকশো ট্যাঙ্কার চলে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, রাস্তা বেদখল হওয়ার জন্য যে রাস্তায় নিত্যদিন যানজট হয়, সাঁতরাগাছি সেতু বন্ধ হলে সেই পথ দিয়ে ভারী গাড়ি গেলে মানুষের যাতায়াত করাই কঠিন হয়ে যাবে।

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘বিষয়টা আমাদেরও ভাবাচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে রাস্তা চওড়া করতে হকারের দখলমুক্ত করার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে যানজটের আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement