মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার বাগনানের মুম্বই রোডে। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
ফের তাঁর জেতা আসন সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। এ বার আসন পাল্টানোর হ্যাটট্রিক করে ফেললেন হাওড়া জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য। বুধবার তিনি মনোনয়ন জমা দিলেন উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের রঘুদেবপুর ও খলিসানি— এই দুই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে জেলা পরিষদের ১৩ নম্বর আসনে। আগের দফায় (২০১৮) তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আমতা ১ ব্লক থেকে। তার আগের দফায় (২০১৩) বাগনান ২ ব্লক থেকে।
অজয়ের বাড়ি আন্দুলে। তাঁর নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র সাঁকরাইল ব্লক। কিন্তু আসন সংরক্ষণের কারণে ২০১৩ সাল থেকে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। ওই বছরই তৃণমূল বামেদের হাত থেকে জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নেয়। অজয় হন সহ-সভাধিপতি।ফের আসন পাল্টাতে হলেও অজয়ের কোনও ক্ষোভ নেই। তাঁর কথায়, ‘‘বার বার নতুন কেন্দ্রে মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে। আমি দলের বিশ্বস্ত সৈনিক। দল যেখানে দাঁড়াতে বলছে, সেখানেই যাচ্ছি। একজন জেলা পরিষদ সদস্য হিসাবে জেলার অনেকটা জায়গা ঘোরা হয়ে গেল। এটাও কম কথা নয়।’’
উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক তথা পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘অজয়দা প্রথম থেকে তৃণমূল করছেন। বিরোধী দলনেতা এবং সহ-সভাধিপতি হিসাবে তাঁর অভিজ্ঞতা অমূল্য। তাই তাঁর আসন সংরক্ষিত হয়ে গেলেও তাঁকে বাদ দিয়ে জেলা পরিষদ চালানোর কথা দল ভাবতেই পারে না।’’ একই বক্তব্য হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ সেনেরও। অজয় জেলা পরিষদে তৃণমূলের সবচেয়ে পুরনো সদস্য। প্রথম সদস্য হন ১৯৯৮ সালে। তিনি সে বছর সাঁকরাইল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।