Operation

ভাঙা গলার হাড়, বিকল কিডনি, ফুসফুস! হাওড়ার শ্রমিককে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন ডাক্তারেরা

স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন রোগীর গলার হাড়ের সঙ্গে পাঁজরও ভাঙা। যকৃৎ, কিডনি এবং ফুসফুসেও গুরুতর আঘাত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ০১:১৫
Share:
ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়া হাওড়ার মূক ও বধির ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসকেরা।

ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়া হাওড়ার মূক ও বধির ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

কাজ করতে গিয়ে গলার হাড় কিংবা ‘কলার বোন’ ভেঙেছিল। সেই শ্রমিকের অস্ত্রোপচারের আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার পর দেখা যায় শুধু গলার হাড় নয়, ফুসফুস, যকৃৎ-সহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জখম রয়েছে। ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়া হাওড়ার মূক ও বধির ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

হাওড়ার কলাবাগান লেনের বিশেষ ভাবে সক্ষম যুবক সন্ন্যাসী দাস কারখানায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। একটি ভারী আলমারি পড়ে যায় তাঁর উপর। চিকিৎসার জন্য সন্ন্যাসীকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার একটি হাসপাতালে। তবে অস্ত্রোপচার করার আগে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন তাঁর গলার হাড়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঁজর ভেঙেছে। যকৃৎ, কিডনি এবং ফুসফুসেও গুরুতর আঘাত রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছিলেন রোগী। ওই রোগীর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়। টানা ১৬ দিনের প্রচেষ্টায় রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন চিকিৎসকেরা। এখন ওই রোগী স্থিতিশীল। হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক সুমনা বাগচী বলেন, ‘‘রোগী মূক ও বধির হওয়ার জন্য তাঁর সমস্যা বোঝাতে পারছিলেন না। এ ছাড়াও ‘মাল্টি অর্গান’ সমস্যার জন্য জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়। রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা ছিল আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।’’

সন্ন্যাসী সুস্থ হওয়ার পরে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, একপ্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছেলেন তাঁরা। তবে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রত্যেকের আন্তরিক চেষ্টায় রোগী ভাল হয়ে উঠেছেন। এ জন্য তাঁরা কৃতজ্ঞ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement