RPF

হাওড়ায় ট্রেনের কামরাতে সন্তান প্রসব প্রসূতির, হাত বাড়ালেন তিন মহিলা আরপিএফ

অসম থেকে আসা ওই মহিলার নাম ললিতা গোন্দ। তাঁর বাড়ি আসামের ওদালগিরি জেলার চেহাদাগিচা এলাকায়। স্বামীর নাম পদন প্রজা। ললিতা তাঁর স্বামী পদন প্রজার সঙ্গেই কৃষ্ণরাজপুরাম থেকে হাওড়ায় এসেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া   শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ০২:২২
Share:

আরপিএফ কর্মী স্নিগ্ধা বালার কোল সদ্যোজাত শিশুটি। নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া স্টেশনে ট্রেনের কামরার মধ্যেই সন্তান প্রসব করলেন এক তরুণী। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন কর্তব্যরত তিন মহিলা আরপিএফ কর্মী।

Advertisement

পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনের ১৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। তখন প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শেনর দায়িত্বে ছিলেন স্নিগ্ধা বালা, পিঙ্কি পান্ডে এবং এ তিরকে নামের তিন মহিলা আরপিএফ কর্মী। প্রতি দিনের মতো তাঁরা প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। ট্রেনটির এস-৬ নম্বর কামরার কাছে আসতেই সেটির ভিতর থেকে যন্ত্রণায় কাতর এক মহিলার আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। কামরার ভেতরে প্রবেশ করতেই তাঁরা দেখেন এক সন্তানসম্ভবা মহিলা একটি আসনে শুয়ে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ঘটনার আকস্মিকতা বুঝে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ওই কামরার দু’পাশের জানলার কাচ ঢেকে দেন বিছানার চাদর দিয়ে। এর পর ওই মহিলাকে ট্রেনের কামরার মধ্যেই সন্তান প্রসব করতে সাহায্য করেন ওই তিন নারী।

পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, অসম থেকে আসা ওই মহিলার নাম ললিতা গোন্দ। তাঁর বাড়ি অসমের ওদালগিরি জেলার চেহাদাগিচা এলাকায়। স্বামীর নাম পদন প্রজা। ললিতা তাঁর স্বামী পদন প্রজার সঙ্গেই কৃষ্ণরাজপুরাম থেকে হাওড়ায় এসেছিলেন। সন্তান প্রসবের পরেই ওই তিন মহিলা আরপিএফ কর্মী অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে ললিতা এবং তাঁর সদ্যজাত শিশুটিকে রেলের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা সদ্যজাত শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। মা ললিতা ও তাঁর সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান দু’জনেই সুস্থ রয়েছে বলেই জানিয়েছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement