—ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করতে বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি— চার পুরনিগমেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব বুথে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। সেই সঙ্গে সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থাও থাকছে। শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে সেরে ফেলা হয়েছে বুথে বুথে ইভিএম পৌঁছে দেওয়া কাজ।
চার পুরনিমগের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বুথ রয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে। সেখানে মোট বুথের সংখ্যা এক হাজার ১৮২। প্রত্যেক বুথে থাকবেন চার জন বুথকর্মী। আসানসোলে বিরোধীদের অভিযোগ, আশপাশের জেলা থেকে প্রচুর ‘বহিরাগত’ ঢোকানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করে বিগত দু’দিন ধরেই গোটা পুরনিগমের এলাকায় রুটমার্চ করেছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। আসানসোলের সীমানা এলাকায় শুক্রবার গোটা দিন ধরেই চলেছে নাকা চেকিং। তল্লাশি চালানো হয়েছে বিভিন্ন কমিউনিটি হলে। আসানসোলে এখনও পর্যন্ত ৩২৪টি এফআইআর দায়ের হয়েছে পুরভোট সংক্রান্ত। ভোটগ্রহণের দিনে অশান্তি ঘটনা রুখতে জামিন অযোগ্য ধারায় এখনও পর্যন্ত ৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোলের মোট ভোটার সংখ্যা ন’লক্ষ ৪২ হাজার ৯০ জন।
আসানসোলের মতো বিধাননগরেও মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। শুক্রবার বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় বাহিনীর রুটমার্চ হয়েছে। চলেছে নাকাচেকিংও। সল্টলেক ঘুরেও দেখেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন আইজি সিআইডি আনন্দ কুমার। বিধাননগরের বুথের সংখ্যা ৫২৩। মোট ভোটার চার লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৪০।
চার পুরনিগমের মধ্যে বুথের সংখ্যা সব চেয়ে কম চন্দননগরে। মোট বুথের সংখ্যা ১৭৩। চন্দননগরে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সম্প্রতি বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডে ভোট স্থগিত হয়ে গিয়েছে। বাকি ৩২ ওয়ার্ডে হবে ভোট। চন্দননগরে ঢোকা এবং বেরনোর আট জায়গায় নাকা চেকিং চলেছে দিনভর। গঙ্গায় পুলিশ বোটে পেট্রোলিং চলছে। চন্দননগরে মোট ভোটার এক লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৪৩।
শিলিগুড়িতে মোট বুথের সংখ্যা ৫০২। এর মধ্যে ৮১টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্পর্শকাতর বুথে সিসিটিভি-সহ ভিডিওগ্রাফির বন্দোবস্ত থাকছে, জানান মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক তথা শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক শ্রীনিবাস বেঙ্কটরাও পাটিল। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির তথ্যকেন্দ্রে পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। তার পর শুক্রবার সারা দিন ধরেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় নাকাচেকিং করে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় বিভিন্ন কমিউনিটি হলে। মোট ২ হাজার ২৭২ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে শিলিগুড়িতে। যার মধ্যে বাইরের জেলা থেকে ১ হাজার ৫০০ জন পুলিশ নিয়ে আসা হয়েছে। শিলিগুড়িতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৯৫।