প্রতীকী ছবি।
জীবনযাপন থেকে কাজের ধরন, সব কিছুতেই করোনা যে-পরিবর্তন এনেছে, তার সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে রাজ্যের আবাসন দফতরও। তাই প্রকল্পের তদারকি, অভিযোগের শুনানি, এমনকি পর্ষদের ফ্ল্যাটের জন্য লটারিও হচ্ছে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে।
করোনায় আবাসন দফতরের কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছিল। এখন তত সমস্যা নেই। নিউ টাউনে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের জন্য ৫৫০ ফ্ল্যাটের আবাসন ‘আকাঙ্ক্ষা’ প্রায় হয়েছে ভার্চুয়াল পর্যবেক্ষণে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ট্রান্সফর্মার থেকে লিফটের কাজ ভার্চুয়াল নজরদারিতেই শেষ করেছে আবাসন দফতর। কিছু দিনের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর শুরু হবে। তার আগে এক বার শারীরিক ভাবে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ হবে বলে জানান আধিকারিকেরা। বিভিন্ন জেলায় নিজশ্রী, পশ্চিম বর্ধমানে ‘জন আবাসনের’ ফ্ল্যাট নির্মাণ, সরকারি কর্মীদের আবাসন, জেলায় রাত্রিবাস-সহ ২৫টির বেশি প্রকল্পে ভার্চুয়াল নজরদারি চলেছে কয়েক মাস ধরে।
কী ভাবে? দফতর সূত্রের খবর, এই সব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের কর্মী-ইঞ্জিনিয়ারেরা প্রকল্পস্থলে যাচ্ছেন। কখনও কখনও সঙ্গে থাকছেন আবাসন দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা। ক্যামেরায় প্রকল্পস্থলের ছবি তুলে আবাসন দফতরে হাজির আধিকারিকদের দেখানো হচ্ছে। দেখে মতামত দিচ্ছেন আবাসন-কর্তারা। অনেক ক্ষেত্রে এই নজরদারির সময় জেলা প্রশাসনের কর্তারা ভিডিয়ো-বৈঠকে থাকছেন। সংস্থা কোনও সমস্যার কথা জানালে তৎক্ষণাৎ তা শুনে নিয়ে সমাধান করে দিচ্ছেন জেলার আধিকারিকেরা।
আবাসন পর্ষদের ফ্ল্যাট বিক্রির কাজও হচ্ছে ভার্চুয়ালি। মার্চে সেই কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু করোনায় থমকে যায়। সেই কাজ পুরোদমে চলছে। আর দু’-তিন দিন কাজ করলেই এই লটারি প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে খবর। ফেসবুক লাইভের সঙ্গে পর্ষদের ওয়েবসাইটেও লটারির খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে পারছেন ক্রেতারা। রাজ্য হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি অথরিটির (হিরা) কাছে জমা পড়া বিভিন্ন অভিযোগের শুনানিও চলছে ভার্চুয়ালি। দফতরে আসা বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ‘গণ-আবেদনের’ সুরাহা করা হচ্ছে একই ভাবে।
আবাসনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কোনও কাজ পড়ে নেই। মানুষ অসুবিধায় আছেন। তার উপরে আবাসন নিয়ে যাতে মানুষকে সমস্যায় পড়তে না-হয়, সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি। স্বতঃপ্রাণোদিত হয়ে আধিকারিকেরা মানুষের জন্য দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।’’