কাজ নিয়ে টক্কর মন এবং মোর্চার

সোমবার পাহাড়ে দরিদ্রদের জন্য দেওয়া রেশন ব্যবস্থার ফাঁক ভরাট করতে খাদ্য সরবরাহ দফতরে গিয়ে দাবিপত্র পেশ করেন জিএনএলএফ নেতা-সমর্থকরা। দ্রুত পাহাড়ে সব আবেদনকারীকে ডিজিটাল কার্ড ও রেশনে ভাল মানের পণ্য না দিলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দেন মন ঘিসিঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১২
Share:

ফাইল চিত্র।

পাহাড়ের হতদরিদ্র পরিবারগুলিকে পাশে টানতে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে জিটিএ-র কেয়ারটেকার বোর্ড ও দার্জিলিং হিল ডেভেলমেন্ট কমিটি।

Advertisement

সোমবার পাহাড়ে দরিদ্রদের জন্য দেওয়া রেশন ব্যবস্থার ফাঁক ভরাট করতে খাদ্য সরবরাহ দফতরে গিয়ে দাবিপত্র পেশ করেন জিএনএলএফ নেতা-সমর্থকরা। দ্রুত পাহাড়ে সব আবেদনকারীকে ডিজিটাল কার্ড ও রেশনে ভাল মানের পণ্য না দিলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দেন মন ঘিসিঙ্গ। বন্‌ধ উঠলেও পাহাড়ে রেশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। তাই বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভও রয়েছে। তাকে সামনে রেখে রাজ্যের উপরে চাপ তৈরি করতে নেমেছে জিএনএলএফ।

মনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ধরেই নেওয়া হচ্ছে, ছ’মাস পরে জিটিএ-র কেয়ারটেকার বোর্ড আর থাকবে না। তার আগে জনসমর্থন বাড়াতে এখন থেকেই নেমে পড়লেন মন ও তাঁর নেতৃত্বাধীন দার্জিলিং পার্বত্য উন্নয়ন কমিটি। সদ্য কলকাতায় মন্ত্রীদের সঙ্গে দরবার করে পাহাড়ে গরিবদের জন্য ‘গীতাঞ্জলী’ আবাসন প্রকল্পের কাজ নিজেদের এক্তিয়ারে এনেছেন বিনয় তামাঙ্গরা। জিটিএ সূত্রের দাবি, বিনয় কলকাতায় সরকারি কর্তাদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই আবাসনমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁকে গীতাঞ্জলী আবাসনে বাড়ি তৈরির প্রকল্প নিয়ন্ত্রণের ছাড়পত্র দেন।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে দু’হাজার বাড়ি বানাবে জিটিএ। এক একটি বাড়ির জন্য সরকারি বরাদ্দ গড়ে পৌনে ২ লক্ষ টাকা। মোর্চার কেউ কেউ জানান, এত দিন ‘হামরো ঘর’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরির দায়িত্ব ছিল পাহাড়ের উন্নয়ন পর্ষদগুলির। এ বারে সেই অধিকারে ভাগ বসাল জিটিএ-ও।

মোর্চা-জিএনএলএফ পরিষেবা-উন্নয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামায় স্বস্তিতে রাজ্য। প্রয়োজনে পাহাড়ের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে পারে তারা। সরকারি সূত্রে খবর, জিটিএ-কে অগ্রাধিকার দিলেও পাহাড়ের ১৫টি বোর্ডের মাধ্যমেও নানা সম্প্রদায়ের গরিবদের জন্য ঘর বিলির কাজও চলবে। মন ঘিসিঙ্গের দাবি মেনে ডিজিটাল কার্ডের কাজে গতি আনতে ও রেশনের পণ্য সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলার খাদ্য সরবরাহ নিয়ামককে পাহাড়ে ক্যাম্প করার পরামর্শ দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement