টেটের পাশাপাশি প্রাথমিকে নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শুরু হতে চলেছে। ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বরের ১১ তারিখে প্রাথমিকের শিক্ষকপদে যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা (টেট) নেওয়ার জন্য একটি হেল্পলাইন তৈরি হবে। তা থাকবে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের অফিসে। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে এবং কন্ট্রোল রুমে সিসি ক্যামেরা থাকবে। বৃহস্পতিবার টেটের প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যসচিবের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি পরিবহণ দফতর, ডিএম এবং এসপি-রা ছিলেন। স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভাবে টেট নেওয়াটাকে বিশেষ চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, টেট নিয়ে ডিএম এবং এসপিদের সঙ্গে একটি সমন্বয় কমিটি গড়ার কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ড্যান্স-সহ বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পর্ষদ। পরীক্ষার দিন পর্যাপ্ত যান চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। সাঁতরাগাছি ব্রিজে মেরামতি চলছে। টেটের দিন যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না-হয়, সেই বিষয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি কেন্দ্রে ঘড়ি ও পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখা হবে। ঘড়ি, মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষাগৃহে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে ফোটোকপি করার সব দোকান বন্ধ রাখতে হবে।
টেটের পাশাপাশি প্রাথমিকে নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শুরু হতে চলেছে। ৪০ বছরের কম বয়সের প্রার্থী এবং টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিতেরা ওই পদে আবেদন করতে পারবেন। প্রায় ১১ হাজার শূন্য পদে কত জন আবেদন করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি পর্ষদ।