বুধবার তাপপ্রবাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই। ছবি: পিটিআই ।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। কিন্তু তার আগে চরম তাপপ্রবাহে পুড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। তালিকায় রয়েছে কলকাতার নামও। হাওয়া অফিসের তরফে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে জানানো হয়েছে এমনটাই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। যার রেশ চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং বীরভূম—এই আট জেলায় তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। তবে বুধবার তাপপ্রবাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই। বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হবে পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং বাঁকুড়ায়। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে পারে বলেও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ১০ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে তৈরি হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর এগিয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এই তাপপ্রবাহ চলবে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যা মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপের আকার নিতে পারে। বুধবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে রাজ্যে দখিনাবাতাস প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তে রাজ্যে প্রবেশ করছে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা গরম এবং শুষ্ক বাতাস। এর ফলেই রাজ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ তৈরি হওয়ার পর তা কোন উপকূলের দিকে ধেয়ে যাবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি হাওয়া অফিস। বাংলাতেও ঝড়বৃষ্টি হয়ে স্বস্তি বাড়াবে কি না, সে বিষয়েও আবহবিদরা এখনও কিছু জানাননি।