—প্রতীকী ছবি
করোনা রোগীর চিকিৎসায় অতিরিক্ত খরচের অভিযোগ তপসিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে করোনায় সংক্রমিত হন ট্যাংরার বাসিন্দা রেখা শর্মা। ভর্তি করা হয় তপসিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে। ওই হাসপাতলের পরিষেবা-সহ চিকিৎসার সময় রোগীর হাতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার অভিযোগ জানানো হয় স্বাস্থ্য কমিশনে। শুক্রবার কমিশন চিকিৎসার পুরো খরচ ফেরত দেওয়া-সহ পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়।
রেখার হাতে চ্যানেল করতে সমস্যা হওয়ায় ডান হাতে ‘থ্রম্বসিস’ বা রক্ত জমাট বেঁধে যায় বলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পরিবার। এ ছাড়াও ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিলেরও অভিযোগ জানান রেখার পরিজনরা। মূলত চিকিৎসা পরিষেবা পছন্দ না হওয়ায় রোগীকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন রোগীর পরিজনরা। বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর সল্টলেকের ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় রেখার।
তপসিয়ার অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কমিশনে জানান, তাঁরা ঠিক মতো চিকিৎসা করেছিলেন। যদিও সল্টলেকের যে হাসপাতালে রেখাকে পরে ভর্তি করানো হয়েছিল সেই হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী রেখার হাতে গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা আরও জানান, রেখার কোমর্বিডিটি থাকলে, হাতের ‘থ্রম্বসিস’ মৃত্যুর কারণ হলেও হতে পারে। শুক্রবার রেখার চিকিৎসা বাবদ ২ লক্ষ ৯০হাজার টাকা ফেরত এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রেখা করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেলেও, তাঁর ডান হাতের অংশটি বাদ দিতে হতে পারত। তাই শুধু চিকিৎসা বাবদ খরচ ফেরত দেওয়াই নয়, ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসপাতাল সঠিক সময়ে ক্ষতিপূরণের টাকা না দিলে, আট শতাংশ হারে সুদ-সহ পাঁচ লক্ষের বদলে পাঁচ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানান তিনি।
শুধু তপসিয়ার এই হাসপাতালই নয় বেশি বিলের অভিযোগে নিউটাউনের একটি হাসপাতালকে এক লক্ষ ২২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। অপর একটি মামলায় সিঁথির এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পিপিই চার্জ-সহ একাধিক খাতে বেশি বিল করার জন্য এক লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শুক্রবার আরও পাঁচটি মামলার অভিযোগ শুনে মোট এক লক্ষ ২৭ হাজার টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।