—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সব স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগের নথি কী ভাবে ২৭ মে-র মধ্যে জেলা পরিদর্শককে পাঠানো হবে ও পোর্টালে আপলোড করতে হবে, বিভ্রান্তিতে বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের বক্তব্য, গরমের ছুটি তো চলছেই। তার উপরে বহু জায়গায় স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবির হয়েছে। তাই সেখানে গিয়ে কাজ করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে নির্দেশ পালন করা হবে কী ভাবে? প্রসঙ্গত, স্কুলের অবৈধ নিয়োগ চিহ্নিত করতে নিয়োগ সংক্রান্ত সব তথ্য যাচাই এবং প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা ওই নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন।
শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্রের দাবি, ভোটের কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় বহু স্কুলই এখন প্রধান শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তা ছাড়া, বহু শিক্ষক গরমের ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছেন। এই অবস্থায় কী ভাবে দ্রুত এ ভাবে এই নথি দেওয়ার নির্দেশ পালন সম্ভব? তা ছাড়া, বহু বছর আগে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের নথিও এত দ্রুত পাওয়া সম্ভব নয়। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সবই শিক্ষা দফতরের পোর্টালে আছে। পোর্টালে আছে বলেই বেতন হচ্ছে। তা হলে নতুন করে তথ্য চাওয়া হচ্ছে কেন?’’ শিক্ষা দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। তাই সব নথি চাওয়া হয়েছে।