উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদাকে সাসপেন্ড করল শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষককে ডেকে সেখানকার অশান্তির ঘটনা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আমরা তাঁদের বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তাঁদের শো-কজ এবং সাসপেন্ড করা হয়েছে। যত দিন পর্যন্ত তাঁরা তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত না হচ্ছেন, তত দিন তাঁরা সাসপেন্ড থাকবেন।’’ প্রধান শিক্ষক সাসপেন্ড হওয়ার পর ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক অনিল মণ্ডলকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক এ দিন এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।
মন্ত্রীর অভিযোগ, দাড়িভিট-কাণ্ড নিয়ে কথা বলার জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অনেক দিন আগেই তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। মন্ত্রী এ দিন আরও জানান, তিন বছরের মেয়াদ ফুরনোর পরেও ওই স্কুলের পরিচালন সমিতিতে কোনও বদল হয়নি। তাই নতুন পরিচালন সমিতি গঠন না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসক ওই স্কুলের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিটের ওই স্কুলে সংস্কৃত এবং উর্দুর দুই শিক্ষক যোগদান করতে গিয়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের একাংশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন। তা নিয়ে অশান্তির জেরে গুলিতে মৃত্যু হয় দুই ছাত্রের। ওই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ওই স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করব, স্কুলে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু করতে। সামনে পরীক্ষা। পঠন-পাঠন বন্ধ থাকলে পড়ুয়াদেরই ক্ষতি। আন্দোলনের দাবি নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারেন। কিন্তু পুজোর ছুটির পর যে দিন স্কুল খোলার কথা, সে দিন থেকেই ওখানে লেখাপড়া শুরু করুন।’’