পান বরোজের ভিতর মিলল এক তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার নীলকুণ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়কিল্লা গ্রামে শনিবার সকালে ওই মৃতদেহ দেখেন পান বরোজের মালিক উত্তম মান্না। উত্তমবাবুর ডাকাডাকিতে ঘটনাস্থলে জড়ো হন আরও বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী। উত্তমবাবু জানান, পান বরোজের ভিতর এক কোণে মাটিতে শোয়ানো দেহেটি লাল গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। গলার কাটা অংশের কাছ থেকে তখনও রক্ত ঝরছে। দেহের চার দিকে নিম গাছের ডালের কাঠি পুঁতে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দাগ কাটা ছিল। দু’পায়ের ফাঁকে ধূপের গোছা মাটিতে পোঁতা ছিল। দেহের নাভির উপর ঘি ঢালা এবং যৌনাঙ্গের কাছে পোড়া দাগের চিহ্ন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহের কাছে পুজো বা হোমের নানা সামগ্রী রাখা ছিল।
উত্তমবাবু বলেন, “এমন নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। ওই অবস্থায় দেহটি পড়ে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যাই। পড়ার বাসিন্দাদের ডেকে আনি।”
ঘটনাস্থল থেকে উত্তমবাবুর বাড়ি একশো মিটারের মধ্যেই। উত্তমবাবু বলেন, “২২ দিন আগেই এক কাঠা জমিতে পান গাছ লাগিয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর ওই দিকে কেউ যায়নি। কি করে এমন ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তমলুক থানার পুলিশ। থানার ইন্সপেক্টর বিশ্বজিত হালদার জানান, মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। একটি খুনের মামলা রুজু করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। দেহটির মাথাটি এখনও পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে স্নিফার কুকুর নিয়ে পৌঁছেছে পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল।
আরও পড়ুন...
শোভাযাত্রায় দুর্ঘটনা, মৃত বাজনদার