রাজপথে ‘দখলদার’, বলছে হাইকোর্টও

দু’-একটি রাস্তার দখল এবং যানজট নয়, কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকার ব্যস্ত বড় রাস্তাগুলির পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টও আদালতে পেশ করতে পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। জনস্বার্থে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানির সময়ে শুক্রবার ওই পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:৫৭
Share:

এখন যেমন। (১) ধর্মতলা চত্বর (২) হাতিবাগানের ফুটপাথ জুড়ে বাজার। —ফাইল চিত্র।

দু’-একটি রাস্তার দখল এবং যানজট নয়, কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকার ব্যস্ত বড় রাস্তাগুলির পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টও আদালতে পেশ করতে পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। জনস্বার্থে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানির সময়ে শুক্রবার ওই পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।

Advertisement

হাওড়ার আন্দুল রোড ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের অনেক জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ-মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেছেন এক আইনজীবী। সেই আইনজীবীর বক্তব্য, ওই দুই রাস্তায় যানজটের জেরে নবান্ন ও কলকাতায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এ দিন মামলাটি শুনানির জন্য আদালতে ওঠে।

প্রধান বিচারপতি ওই আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আন্দুল রোড ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েই শুধু কেন, কলকাতার ব্যস্ত বড় রাস্তাগুলিতেও দখলদার রয়েছে। সেই কারণে যানজটও হচ্ছে। সেই রাস্তাগুলির কথা মামলার আবেদনে তো
বলা হয়নি।’’

Advertisement

প্রধান বিচারপতি আরও জানান, কলকাতা শহরের পার্ক স্ট্রিট, শিয়ালদহ, শ্যামবাজার, ক্যামাক স্ট্রিট, বিবাদী বাগ এলাকা, চৌরঙ্গী রোড-সহ অনেক রাস্তার অনেকটা অংশই দখল হয়ে গিয়েছে। তার ফলে রাস্তায় যানজটও বেড়ে চলেছে।

প্রধান বিচারপতি এ দিন শুনানির সময়ে ওই আইনজীবীকে পরামর্শ দেন, কলকাতা-সহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় রাস্তাগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তার পরে বিস্তারিত তথ্য ওই মামলায় যোগ করা যায়। চার সপ্তাহ পরে ফের এই মামলাটির শুনানি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement