Hari Krishna Dwivedi

Hari Krishna Dwivedi: কর্তব্যে গাফিলতি হলেই ভূমি আধিকারিকের শাস্তি, নির্দেশ জমি-অভিযোগে জেরবার নবান্নের

বিভিন্ন জেলা থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বহু অভিযোগ অনেক দিন ধরেই পাচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও জমা পড়ছে গুচ্ছ অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২ ০৬:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সংশ্লিষ্ট ভূমি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। বুধবার ভূমি-সহ একাধিক বিষয়ে জেলাশাসক এবং বিভিন্ন জেলার অন্য কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে তাঁর নির্দেশ, জমির মিউটেশন-কনভারশন সংক্রান্ত কোনও কাজ ফেলে রাখা চলবে না। সময়ের মধ্যে সব শেষ করতে হবে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে শিল্প সংক্রান্ত জমির আবেদনগুলির দ্রুত নিষ্পত্তিতে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলা থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বহু অভিযোগ অনেক দিন ধরেই পাচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরেও জমা পড়ছে গুচ্ছ অভিযোগ। সেই কারণে বেশ কয়েকটি জেলায়সাম্প্রতিক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে ভূমিকর্তাদের সতর্ক করতে দেখা গিয়েছে বারে বারে। এ দিন মুখ্যসচিব স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জেলা স্তরের ভূমিকর্তাদের কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে পরিষেবা পাওয়ার অধিকার আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হতে পারে।

গত শিল্প সম্মেলনে (বিজিবিএস) অনেক শিল্প-প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে বলে রাজ্য সরকারের দাবি। এ দিন মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, শিল্পের স্বার্থে কোনও জমির কনভারশনের আবেদন জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। নবান্নের কাছে তথ্য আছে, অনেক জেলায় অনেক মিউটেশন বা কনভারশনের কাজ বকেয়া রয়েছে। সেগুলি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

Advertisement

জমি সংক্রান্ত পাওয়া বিপুল অভিযোগের পরে ব্লক থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত ভূমি দফতরের কার্যালয়ে পরিষেবা নিশ্চিত করতে নজরদারি কমিটি গড়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সব কমিটির নজরদারি এবং সমন্বয় বৈঠক ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। এ দিন সেই পদ্ধতির কথা আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে নবান্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি নবান্নের সিদ্ধান্ত, গ্রামে ছোট রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন এবং বড় গ্রামীণ রাস্তার ক্ষেত্রে আরআইডিএফ-এর অর্থ দেওয়া হবে। শীঘ্রই সেই অর্থ ছাড়বে নবান্ন। জেলাশাসকদের এ দিন রাস্তাগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। স্কুলপড়ুয়াদের পোশাক তৈরির অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন তিনি। অনেক জেলায় এই কাজের গতি বেশ কম। তাই এ ব্যাপারে জেলাশাসকদের দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গোটা রাজ্য মেলালে এ-পর্যন্ত গড় পোশাক তৈরির হার ৪০ শতাংশের আশেপাশে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement