ছবি: সংগৃহীত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের চিঠি পাঠিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর এই কার্যকলাপকে ‘বিরক্তিকর’ আখ্যা দিয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যপাল আবার চিঠি পাঠানোর পরে টুইট করে দাবি করলেন, তিনি এই পত্র-যুদ্ধে ইতি এবং করোনা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চান।
মুখ্যমন্ত্রীর ১৩ পাতার চিঠির জবাবে সোমবার চার পাতার চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে’। তাঁর অভিযোগ, রেশন দুর্নীতি, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ এবং ‘পুলিশ-রাজ’ কায়েম হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর কটাক্ষ, সরকার এবং সিন্ডিকেট একই সঙ্গে কে চালান, তা পশ্চিমবঙ্গে কারও অজানা নয়! রাজভবনে বসে তিনি সাংবিধানিক ‘সীমাবদ্ধতা ও দায়বদ্ধতা’ মেনেই কাজ করছেন বলেও ধনখড়ের দাবি। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেছেন, ‘‘প্রতিদিন রাজ্যপালের এই কাজ বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। এর প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। উনি ওঁর কাজ করতে থাকুন, আমরা আমাদের কাজ করছি।’’ তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রপতি যদি এখন প্রধানমন্ত্রীর কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, তা হলে কেমন হবে? সংসদীয় গণতন্ত্রকে হুমকি দেওয়ার একটা চেষ্টা রাজভবন থেকে শুরু হয়েছে। এগুলোকে গুরুত্ব দিতে চাই না।’’ তবে সুদীপবাবুদের দাবি, রাজ্যপাল যত এমন করবেন, ততই মানুষের কাছে তাঁর ‘স্বরূপ’ উন্মোচিত হবে।