মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন রাজ্যপাল।—ফাইল চিত্র।
বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যখন যেখানে চাইবেন আমি বসতে পারি। প্রকাশ্যেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। রাজভবন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, নবান্ন বা তাঁর পছন্দের যে কোনও জায়গায় যেতে পারি। যে সব বিষয়ে ওঁর বক্তব্য আছে তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে।’’ তিনি জানান, গত মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে বসে চা খেতে চেয়েছেন।
রাজ্যপালের এই আহ্বান সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে এদিন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ‘‘রাজনীতি বা প্রশাসনে পরস্পর কুশল বিনিময়ের জন্য কেউ কাউকে ফোন করতে পারেন। রাজ্যপাল করতে পারেন, মুখ্যমন্ত্রীও করতে পারেন। সেটা বলে বেড়ানো প্রশাসনিক সৌজন্যের সঙ্গে মানানসই নয়।’’
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, লাগাতার সংঘাতের পরিস্থিতিতে রাশ টানা যে জরুরি সেটা রাজ্যপাল হয়ত বুঝতে পারছেন। হয়ত তাঁকে কোনও মহল থেকে ‘বোঝানো’ও হয়েছে। তাই আপসের পথ খুঁজতে কথা বলতে চেয়েছেন তিনি।
এদিন অম্বেডকরের মৃত্যুদিন উপলক্ষ্যে বিধানসভায় শ্রদ্ধা জানাতে এসে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এই দিনে আমি একটা বার্তা দিতে চাই। অম্বেডকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সকলেরই সাংবিধানিক সীমার মধ্যে থাকা উচিত। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমার দায় বেশি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, ম্যাডাম আলোচনায় যে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে।’’ তিনি বলেন, ‘‘খোলা মনে যে কোনও বিষয় নিয়েই আমি আলোচনার জন্য রাজি। এ ব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন বলে জানিয়েছেন ধনখড়।