Mamata Banerjee vs CV Ananda Bose

রাজভবনে মহিলারা যেতে ভয় পান, মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যে প্রবল রুষ্ট রাজ্যপাল মানহানির মামলার পথে?

বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে সরকারি বৈঠক থেকে রাজভবন নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ১৪:৩৩
Share:

(বাঁ দিকে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাজভবনে যেতে মহিলারা ‘ভয়’ পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যে রুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কি কলকাতা হাই কোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে? সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে সেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাই কোর্টের আইনজীবীরা শনিবার জানিয়েছেন, এমন কোনও মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। আবার রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল আপাতত দিল্লিতে। তিনি কলকাতায় ফেরার পরে ওই মামলা দায়ের করা হতে পারে। দিল্লিতে ওই বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিয়ে থাকতে পারেন রাজ্যপাল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে সরকারি বৈঠক থেকে রাজভবন নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে।’’ মমতা যখন ওই মন্তব্য করেন, তখন রাজ্যপাল ছিলেন দিল্লিতে। বিষয়টি তাঁর কানে গেলে দিল্লি থেকেই মমতার ওই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল বোস। এ-ও বলেন যে, এক জন প্রশাসনিক প্রধানের কাছে তিনি কোনও বিষয়ে এমন ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য আশা করেননি। ঘটনাচক্রে, তার পর শুক্রবার দিল্লিতে বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও বৈঠক হয় বোসের। সূত্রের খবর, তার পরেই মমতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটছেন রাজ্যপাল বোস।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে হবে।এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়।’’ অন্য দিকে, প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিজেপি। সিপিএম অবশ্য রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকার— দু’পক্ষেরই নিন্দা করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement