সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
রাজভবন এবং নবান্নের সংঘাত থামার লক্ষণ নেই। এ বার সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশন’ (পিএসসি)-এর চেয়ারম্যান এবং সদস্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অতি দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান এবং সদস্য নিয়োগ করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কারণ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, রাজভবনে থাকা ‘শান্তিকক্ষে’ রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ না হওয়ায় যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন না। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই রাজ্যকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের বিবৃতিতে পিএসসি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও, তাঁর এমন উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেছেন, ‘‘শান্তিকক্ষে কবে থেকে আবার অভিযোগ জমা পড়া শুরু হল? আসলে রাজ্যপাল সংবাদে ভেসে থাকতেই এমন সব কথা বলছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পিএসি-তে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ নিয়ে কখন পদক্ষেপ করতে হবে, তা রাজ্য সরকার ভালই জানে। তাই এতে কারও পরামর্শ বা নির্দেশের প্রয়োজন নেই।’’ প্রসঙ্গত, গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা সন্ত্রাসের ঘটনার পর, রাজভবনে ‘পিস রুম’ বা ‘শান্তিকক্ষ’ চালু করেন রাজ্যপাল। সঙ্গে জানিয়ে দেন, ‘‘রাজ্যে কোথাও কেউ আক্রান্ত হলে রাজভবনের ‘শান্তিকক্ষে’ জানাতে পারেন। তা হলে রাজভবন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেবে।’’ রাজ্যপাল বোসের এমন উদ্যোগকে সেই সময় তীব্র কটাক্ষ করেছিল শাসকদল। পঞ্চায়েত ভোটপর্ব মিটে গেলেও রাজভবনে এখনও চালু রয়েছে ‘শান্তিকক্ষ’। রাজভবনে চাকরিপ্রার্থীরা সেই ‘শান্তিকক্ষে’ নিজেদের চাকরি না পাওয়ার কারণ জানালে, রাজ্যকে দ্রুত পিএসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।