বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ।—ছবি পিটিআই।
বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত কাজের জন্য সরকারি কর্মীদের উৎসাহ ভাতা (ইনসেনটিভ) দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার আকাশপথে বসিরহাটের বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে প্রশাসনিক বৈঠকে করেন তিনি। সেখানে ছিলেন প্রশাসনিক কর্তা থেকে জনপ্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় যে সব সরকারি কর্মী-অফিসারেরা নির্ধারিত সময়ে পরেও কাজ করবেন, তাঁদের উৎসাহ ভাতার ব্যবস্থা করবে সরকার। কারণ, বুলবুল মাটিতে আছড়ানোর আগেই বহু মানুষকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করেছিল সরকার। তা করেছিলেন সরকারি কর্মী-অফিসারেরাই। এখনও মানুষ সমস্যায় রয়েছেন, তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সেই বার্তা দিয়ে এ দিনের বৈঠকে থাকা প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে ভাবে আপনারা প্রাণ বাঁচিয়েছেন, সে ভাবেই মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। এখন ইর্মাজেন্সি। তাতে দরকার হলে একটু বেশি ডিউটি আওয়ার্স করতে হতে পারে। আট ঘণ্টার জায়গায় বারো ঘণ্টা করতে পারলে অনেকটা কাজ শেষ হবে। সরকার নিশ্চয়ই ইনসেনটিভ দেবে। যাঁরা ফিল্ডে কাজ করছেন।’’
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পরে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, কর্মীর অভাব আছে কি না। সে দিনও উঠে এসেছিল বিপর্যয় মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কর্মীদের ইতিবাচক ভূমিকা। বুলবুল সামলানোর ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সরকারি ব্যবস্থার প্রশংসা করেছে কেন্দ্রও। সব মিলিয়ে সরকারের কাছে কর্মীদের ভূমিকা বড় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বেতন কমিশন কার্যকর করার কথা ঘোষণা হলেও বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) উল্লেখ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বুলবুল ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্গঠনে এলাকায় সরকারি কর্মীদের উৎসাহ ভাতার প্রতিশ্রুতি ডিএ ‘ক্ষত’ মেরামত কি না, সে প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই।