মদ-রাজস্বে লক্ষ্যপূরণে ভরসা এখন বড়দিনই

মা দুর্গার ভক্তদের সঙ্গে লড়াইটা মূলত ছিল মা কালীর চেলাদের! এ বার কিন্তু সেই লড়াইয়ে মা কালী আপাতত বেশ খানিকটা পিছিয়ে। কালীপুজোর নভেম্বর নয়। বরং অক্টোবরে, দুর্গাপুজোর মাসে মদ থেকে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব তুলেছিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

মা দুর্গার ভক্তদের সঙ্গে লড়াইটা মূলত ছিল মা কালীর চেলাদের! এ বার কিন্তু সেই লড়াইয়ে মা কালী আপাতত বেশ খানিকটা পিছিয়ে। কালীপুজোর নভেম্বর নয়। বরং অক্টোবরে, দুর্গাপুজোর মাসে মদ থেকে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব তুলেছিল রাজ্য সরকার। পুজোর মরসুম এ বারের মতো কেটে যাওয়ার পরে আবগারি দফতরের ভরসা এখন প্রভু যিশু। বড়দিনের মরসুমে দেড় হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি করাই লক্ষ্য ওই দফতরের।
আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এ বছর মদ বিক্রি করে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। নভেম্বরের শেষে হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, ৬৮০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। বাকি চার মাসে আরও চার হাজার কোটি তোলার চেষ্টা চালানো হবে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে বড়দিন থেকে নতুন বছর পর্যন্ত দেদার মদ বিক্রির আশা করছেন কর্তারা।
মদের বিক্রি বাড়াতে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাত ৩টে পর্যন্ত বার খোলা থাকবে। বাড়তি সময় বার খোলা রাখার অনুমতি দিয়েই সরকার আরও কয়েক কোটি টাকা তুলে নিতে পারবে বলে জানাচ্ছেন আবগারি কর্তারা। এ ছাড়া ডিসেম্বরে ‘প্রাইভেট পার্টি’ আয়োজনের জন্যও দেদার অনুমতি দেওয়া হবে।
রেস্তরাঁগুলো ক্রেতা পেতে ঢালাও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ফলে বড়দিনের উৎসবে মানুষ যত মাতবেন, ততই নবান্নের ভাঁড়ার উপচে পড়বে বলে আবগারি কর্তাদের আশা।
ওই কর্তারা জানাচ্ছেন, অক্টোবরে অর্থাৎ দুর্গাপুজোর মাসে রেকর্ড পরিমাণ— ১২৭৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি করেছিল রাজ্য বেভারেজ কর্পোরেশন। যা আগে কখনও হয়নি। আশা ছিল, নভেম্বরে তা ছাড়িয়ে যাবে। কেননা নভেম্বরে কালীপুজোর সঙ্গে সঙ্গেই ছিল ভাইফোঁটা আর ছটপুজো। কিন্তু আবগারি কর্তাদের রাজস্বের হিসেব বলছে, অক্টোবরের চেয়ে ১০০ কোটি কম আয় হয়েছে নভেম্বরে। তাই ভরসা এখন বড়দিনের বাজার আর ইংরেজি নববর্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement