জেলার সরকারি স্কুলে ছাত্রাবাস

তবে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, প্রকল্প তো হাতে নেওয়া হচ্ছে। কাজ হবে তো? সূচনাতেই এমন প্রশ্নের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অনগ্রসর অঞ্চলের সাধারণ স্কুলে ছাত্রীদের জন্য হস্টেল তৈরির প্রকল্পের অভিজ্ঞতা মোটেই ভাল নয়।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৩
Share:

বিকাশ ভবন

পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের সাধারণ স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের জন্য হস্টেল তৈরির প্রকল্প আগেই শুরু হয়েছিল। সরকারি স্কুলে পড়ুয়া টানতে এ বার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হস্টেল তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

তবে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, প্রকল্প তো হাতে নেওয়া হচ্ছে। কাজ হবে তো? সূচনাতেই এমন প্রশ্নের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অনগ্রসর অঞ্চলের সাধারণ স্কুলে ছাত্রীদের জন্য হস্টেল তৈরির প্রকল্পের অভিজ্ঞতা মোটেই ভাল নয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক টানাপড়েনে ওই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ৬২টি হস্টেলের মধ্যে ন’বছরে তৈরি হয়েছে মাত্র চারটি! এ ক্ষেত্রেও কি তেমনটাই হবে?

বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, এখন রাজ্যে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ১৪৮। তার মধ্যে সরকারি বাংলা মাধ্যমের স্কুল ৪১টি, ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্র্যান্ট ফান্ড (বিআরজিএফ)-এর স্কুল ৪০টি (বর্তমানে চলছে ৩৫টি) এবং ইংরেজি মাধ্যমের মডেল স্কুল ৬৭টি (বর্তমানে চলছে ৪৮টি)। এই ধরনের সব স্কুলেই হস্টেল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিআরজিএফের ৩৫টি স্কুলেই হস্টেলের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে সব ক্ষেত্রেই। এই শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সব স্কুলে কাজ শেষ হবে বলে জানান স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা। একই ভাবে মডেল স্কুলের প্রথম পর্যায়ে ১২টিতে হস্টেলের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সেই কাজ শেষ হয়েছে আটটি স্কুলে। বাকি রয়েছে সামান্য কিছু। পরের পর্যায়ে ফের টাকা বরাদ্দ করা হবে। একই ভাবে পুরনো যে-সব সরকারি স্কুল রয়েছে, সেগুলিতেও হস্টেলের কাজ শুরু হবে। যে-সব স্কুলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চলে, সেখানে সম্পূর্ণ পরিষেবা তৈরি করতে আরও কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান ওই কর্তা।

Advertisement

সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলের তুলনায় বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর ঝোঁক ক্রমশ বাড়ছে। আস্থা ফেরাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মালদহ, মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় মডেল এবং বিআরজিএফ স্কুল গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের স্কুলের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় এখনও অনেকটাই কম। স্কুলগুলি পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে। স্কুলশিক্ষা দফতরের দাবি, হস্টেলের সুবিধা থাকলে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘হস্টেল না-থাকলে পড়ুয়া পাওয়া মুশকিল। তবে যাবতীয় পরিকাঠামো যাতে পর্যাপ্ত থাকে, সে-দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।’’

অন্যান্য বোর্ড নিজেদের স্কুলে ছাত্রাবাসের আবাসিকদের সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নিয়মিত নজরদারি চালায়। বেশ কয়েক মাস আগেই আইসিএসই বোর্ড হস্টেলগুলিতে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে প্রতিটি হস্টেলে কাউন্সিলর ও নার্স নিয়োগ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই আছে ‘ডায়েট’ বা সুষম খাদ্যের বন্দোবস্তের পরামর্শ। সহশিক্ষার ক্ষেত্রে পৃথক সুপার দিয়ে ভাল ভাবে নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে বোর্ডের নির্দেশিকায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement