তুমুল বৃষ্টিতে মিটিং-মিছিল বন্ধ। সঙ্গে ঘরে ঘরে ভাঁড়ার ফাঁকা। এই অবস্থায় আজ, মঙ্গলবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকা সর্বদলে ফের বন্ধ শিথিলের দাবি উঠতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী শনিবারই আলোচনায় বসার ডাক দেন। কেন্দ্র থেকেও চাপ বাড়ানো হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে পাহাড়বাসীর মধ্যে বন্ধ নিয়ে অসন্তোষ। এই অবস্থায় দু’দিনের জন্য বন্ধ শিথিল করে দিল্লির কাছে প্রতিনিধিদল পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে মঙ্গলবারের সর্বদল বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। মোর্চা
রাজ্যের সঙ্গে বসতে নারাজ। তবে দিল্লির মাধ্যমে বৈঠক হলে সমস্যা না-ও থাকতে পারে। সেটা মুখরক্ষার শর্ত হিসেবেও কাজে লাগবে। বস্তুত, বিমল গুরুঙ্গরা এখন বিজেপিকে পাশে পেতে মরিয়া। তাই এ দিন দার্জিলিঙের বিধায়ক অমর রাই বলেন, ‘‘দলের সভাপতির নির্দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিতে আমরা কলকাতায় যাব।’’
পাহাড় সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র ও রাজ্যও যে উদ্যোগী, সেটা ধরা পড়েছে তাদের মন্ত্রীদের কথায়। কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা মেনে নিয়েছেন, দার্জিলিঙের ঘটনায় পর্যটনের ক্ষতি হচ্ছে। অন্য দিকে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের কথায়, ‘‘শুনছি, পাহাড়ে নেতাদের ঘরে খাবার আছে। অথচ সাধারণ লোক খাবার পাচ্ছেন না। এটা কেন হবে? বন্ধ তুলে সকলের ঘরে খাবার পৌঁছতে দেওয়া হোক।’’
এই পরিস্থিতিতে আজ সর্বদল কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে পাহাড়।