বিমল গুরুঙ্গ। ফাইল চিত্র।
পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠকের আগে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। ২৯ অগস্ট নবান্নে সর্বদল বৈঠক হওয়ার কথা। মূলত জিএনএলএফ-এর চিঠির প্রেক্ষিতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। সর্বদল বৈঠকের বেশ কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছল বিমল গুরুঙ্গের চিঠি। সেই চিঠিতে ফের পৃথক গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবিই তুলে ধরা হল। সর্বদল বৈঠকে মোর্চা যোগ দেবে কি না, সে কথা চিঠিতে লেখা হয়নি। কিন্তু গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে যে তিনি অনড়, সে কথা চিঠিতে খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন গুরুঙ্গ।
আরও পড়ুন: আলোচনা চাই বলেও রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সতর্ক মোর্চা
আরও পড়ুন: আলোচনা চাই বলেও রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সতর্ক মোর্চা
মুখ্যমন্ত্রীকে ছ’পাতার চিঠি দিয়েছেন মোর্চা সুপ্রিমো। চিঠিতে তিনি আগাগোড়াই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সওয়াল করেছেন। তার পাশাপাশি গুরুঙ্গের দাবি, পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হবে, মোর্চার নেতা-কর্মীদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ফের বিস্ফোরণে কাঁপল পাহাড়, এ বার সুখিয়াপোখরি
মোর্চা নেতৃত্ব যে আলোচনায় আগ্রহী সে কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আগেই চিঠি লিখেছিলেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ। সরকারি সূত্রে খবর সেই চিঠিতে আগাগোড়াই ছিল আত্মসমপর্নের সুর। বনধের ৬৭ দিনের মাথায় পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজ্যের হস্তক্ষেপ চেয়ে এ বার চিঠি লিখলেন গুরুঙ্গ। তবে গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি থেকে তিনি সরে আসেননি।
প্রথম পাতা দ্বিতীয় পাতা তৃতীয় পাতা
চতুর্থ পাতা পঞ্চম পাতা ষষ্ঠ পাতা
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা বিমল গুরুঙ্গের ছ’পাতার চিঠি। সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন।
চিঠিতে গুরুঙ্গ লিখেছেন, জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী পৃথক রাজ্যের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন জারি রাখবেন। গোর্খ্যাল্যান্ড ছাড়া পাহাড়ে সমস্যা সমাধানের আর কোনও রাস্তা নেই এবং শান্তি ফেরাতে গোর্খ্যাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা শুরু করুক রাজ্য সরকার, চিঠিতে লিখেছেন মোর্চা সুপ্রিমো।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির প্রসঙ্গে মোর্চা নেতা স্বরাজ থাপা বলেছেন, ‘‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নিজেদের দাবি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি চান পাহাড় সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হোক, তা হলে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে খতিয়ে দেখবেন।’’