মেয়ের খোঁজ মিলছে না ২৩ দিন। থানা-পুলিশ, জেলাশাসক, প্রশাসনের কোথায় না গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন বোলপুরের রসুলপুর গ্রামের আব্দুস সেলিম। গত ৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন সেলিম। তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার ও অপহরণের সময় ব্যবহৃত গাড়িটি আটক করলেও মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। খোঁজ মেলেনি নাবালিকারও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ২২ নভেম্বরের। স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ওই স্কুলেরই এক ছাত্র ও তার সঙ্গীরা সকালে স্কুল শুরুর সময় একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র দেখানোয় তারা ভয়ে প্রথমে কাউকে না বললেও পরে স্কুলে জানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে। ফের ২১ ডিসেম্বর তাদের আদালতে তোলা হবে। বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। অন্য আধিকারিকেরাও ঘটনাটির উপর নজর রেখেছেন। কিন্তু পুলিশের তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রীটির বাবা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রথম দিকে তদন্তের গতি ছিল। ঘটনার দু’দিনের মধ্যেই যে ভাবে গাড়ি-সহ চালক ধরা পড়ল তা প্রশংসনীয়। কিন্তু দেখলাম হঠাৎই এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসারকে বদলে দেওয়া হল।’’ এর পিছনে কেউ কোনও প্রভাব খাটাচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনার কথা জানি। গুরুত্ব দিয়েই পুরো ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’’