উৎসবের মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে মেঘ। ফাইল চিত্র।
কে বলবে এটা আশ্বিন মাস? নীল আকাশ উধাও। কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে শহর ছাড়িয়ে গ্রাম। গত কয়েক দিন ধরে শ্রাবণ মাসের মতো ঘ্যানঘ্যানানি বৃষ্টি লেগেই রয়েছে।
উৎসবের আমেজ ভেস্তে দিতে যেন চোখ রাঙাচ্ছে বর্ষাসুর। আপাতত, আগামী ৭২ ঘণ্টা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
সপ্তমী থেকে দশমীর এই চারদিন কী হবে? সে বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনই বলতে না পারলেও, আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বৃষ্টির আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে সোমবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা তো থাকবেই, তার সঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিও হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : সিবিআই অফিস থেকে মুকুল বেরোলেন, মমতার বিরুদ্ধে তুললেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
বর্ষার মরসুমের শেষে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি নিম্নচাপের সম্ভাবনা থাকায় পুজোর ওই চারদিন রেনকোট বা ছাতা নিয়ে প্রতিমা দর্শন করতে হতে পারে। তবে প্রকৃতি সহায় হলে, বর্ষাসুর ‘বধ’ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে।
আরও পড়ুন : মহিষাসুর পালা ২০১৯
শনিবার মহালয়ার দিন উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার এবং সোমবারও কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া হুগলি, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান এবং পাহাড়ের পাঁচ জেলায় বৃষ্টি হবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সেটি ঘনীভূত হয়, তাহলে রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশ এবং ওই রাজ্য সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। তার পরোক্ষ প্রভাব এখনও রয়েছে। এমনকি এ রাজ্যে বর্ষার বিদায় ৮ অক্টোবর। ফলে বর্ষার মরসুমেই এ বার পুজো পড়েছে। লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার কারণে, উদ্যোক্তারা তো বটেই, পুজো শপিংয়ে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই।