ছেলে কোলে প্রচারে ফল উল্টো, হার রূপালীর  

দুপুরে জগন্নাথের ব্যবধান বাড়ার পরেই গণনাকেন্দ্র ছেড়ে চলে যান রূপালী। বলে যান, ‘‘যা বলার, পরে বলব।’’

Advertisement

সম্রাট চন্দ 

রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০৪:৫৫
Share:

রূপালি বিশ্বাস। ফাইল চিত্র।

সহানুভূতির ভোটে ভর করে নদিয়ার রানাঘাটে বৈতরণী পেরোতে চেয়েছিল তৃণমূল। কৃষ্ণগঞ্জের নিহত বিধায়ক তথা মতুয়া মুখ সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। দেড় বছরের ছেলে সৌম্যজিৎকে নিয়ে রূপালী সভায়-সভায় ঘুরেছেন। ব্যানারে-পোস্টারে ছাপা হয়েছে ছেলে কোলে তাঁর ছবি, যা নিয়ে সিপিএম নির্বাচন কমিশনে বিধিভঙ্গের নালিশও জানিয়েছে। কিন্তু ভোটারদের সহানুভূতি পাওয়ার সেই চেষ্টাই বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। বিপুল ভাবে পরাজিত হলেন প্রথম বার ঘর ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখা রূপালী।

Advertisement

রানাঘাটে যে তৃণমূল চাপে পড়ে যেতে পারে, সেই ইঙ্গিত আগেই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ছিল। সেই কারণেই মনোনয়ন জমার মাত্র দিন দুই আগে ভোটে দাঁড়ানোর বয়স অর্থাৎ পঁচিশ ছোঁয়া রূপালীকে তাঁর গৃহকোণ থেকে বার করে আনা। পরে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির দীর্ঘ টালবাহানা, নাম ঘোষণা সত্ত্বেও সরকারি চিকিৎসকের পদ থেকে ছাড় না-পেয়ে মুকুটমণি অধিকারীর প্রার্থী হতে না-পারা এবং বিকল্প হিসাবে জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হওয়ায় অনেকেরই মনে হয়েছিল, দৌড়ে বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে।

কিন্তু ছেলে কোলে রূপালীর ভোট চাইতে যাওয়া অনেক ভোটারই ভাল চোখে দেখেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা টিকা-টিপ্পনী উড়ে আসতে থাকে। বরং বিজেপির অনুকূলে স্রোত যে ক্রমশ প্রবলতর হচ্ছে তা প্রচারের শেষ লগ্নে তাহেরপুরে নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় ধেয়ে আসা নজিরবিহীন ভিড়ই এক রকম বলে দিচ্ছিল। আর সেই ঢেউয়ে ভেসেই দু’লাখের বেশি ভোটে জিতে এসেছেন জগন্নাথ।

Advertisement

দুপুরে জগন্নাথের ব্যবধান বাড়ার পরেই গণনাকেন্দ্র ছেড়ে চলে যান রূপালী। বলে যান, ‘‘যা বলার, পরে বলব।’’ পিতৃহারা শিশু কোলে সহানুভূতির ভোট চাইতে যাওয়া তা হলে ভুল ছিল? নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের দাবি, ‘‘তা নয়। আসলে ধর্মীয় আবেগের কাছে সহানুভূতির আবেগ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement