অসন্তোষ: কনকপুরে ভাঙা নলকূপের পাশে গ্রামবাসী। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
গ্রামের বুথে বিজেপি লিড পেয়েছে। সেই কারণে এলাকার নলকূপ গুলি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামেরই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রামপুরহাট থানার বাধা এবং মাড়গ্রাম থানার কনকপুর গ্রামের ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে দুই জায়গাতেই পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। তবে দুই জায়গাতেই কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি। এই অভিযোগ অবশ্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। দ্রুত নলকূপ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
রামপুরহাট থানার বাধা গ্রামের বিজেপি কর্মীদের দাবি, তাদের বুথে তৃণমূল ২৪২ ভোটে পরাজিত হয়েছে। এই ক্ষোভে, গ্রামের দুর্গা মন্দির লাগোয়া অঞ্চলটিতে আটটি পানীয় জলের কলের মুখ ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। ফলে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা খাওয়ার জল পাননি। এলাকার বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের অনেকেই তিন চারজন তৃণমূল কর্মীকে কলগুলি ভাঙতে দেখেছেন। প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।
শনিবার সকালে দলের নেতাদের ঘটনাটি জানান ওই বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গ্রামে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয়বাহিনী রুট মার্চ করে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কল সারানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার রামপুরহাট-১-এর বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সিগ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতারা।
বাধা গ্রামের ঘটনায় রামপুরহাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের পিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘‘কে বা কারা এই কাজ করেছে জানা নেই। তবে এটা ঠিক হয়নি। বাধা গ্রামে কলগুলি মেরামত করা হয়েছে এবং জল সরবরাহ চালু করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মাড়গ্রাম থানার কালুহা পঞ্চায়েতের কনকপুর গ্রামের বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, সেখানেও তৃনমূল হেরে যাওয়ায় শুক্রবার গভীর রাতে গ্রামের সাত-আটটি নলকূপ অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। কোনও নলকূপের হাতল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কোনওটায় পাথর বা বালি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে শনিবার সকাল থেকে এলাকার বাসিন্দারা নলকূপগুলি থেকে জল পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়েই অনেককে পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দুপুরে রামপুরহাট-২ ব্লক অফিস থেকে নলকূপগুলি সারানো শুরু হয়।
কনকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের প্রতিমা দাস বলেন, ‘‘নলকূপগুলি সংস্কার করা হচ্ছে।’’