সিপিএমের টিকিটে জিতেছিলেন রিনা

এলাকার মানুষ জানান, রিনা সবার বিপদে পাশে দাঁড়ান। ২ মার্চ গুজরাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। ট্রেনেই দেখেছিলেন এ রাজ্যের প্রচুর যুবক শ্রমিকের কাজ করতে গুজরাতে যাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০৪:০১
Share:

রিনা সাহা। —নিজস্ব চিত্র।

এক সময় সিপিএমের টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছেন রিনা সাহা। এখনও নিজেকে বামপন্থীই বলেন। সে কথা বলছেন তাঁর প্রতিবেশীরাও।

Advertisement

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের সময় রিনার একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি গুজরাতের উন্নয়নের ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছিলেন। রবিবার মোদীও সেই ভিডিয়োর প্রসঙ্গ তুলেছেন। তার পরেই আবার সবার নজর রিনার দিকে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, রিনা তাঁদেরও বিজেপিকে ভোট দিতে বলেছিলেন। অথচ রিনা ১৯৯৪ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীতলা সংসদ থেকে সিপিএমের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। তা হলে তিনি কি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন? এই প্রশ্ন মানুষের মনে উঠেছিল। রিনার বাড়ির সামনের রাস্তায় আখের রস বিক্রি করেন প্রাণকৃষ্ণ দাস। তিনি বলেন, ‘‘সবাই ভুল ভাবছে। রিনাদি সিপিএমেরই সমর্থক। তিনি বামপন্থাকে দেবতার মতো মানেন। কিন্তু গুজরাতের উন্নয়ন দেখে তিনি আমাকে বিজেপিকে ভোট দিতে বলেছিলেন। গুজরাতের মতো এ রাজ্যেও উন্নয়ন হোক, রিনাদি সেটাই চান।’’ রিনার আরও এক প্রতিবেশীর বক্তব্য, ‘‘কোনও কিছু দেখে ভাল লাগলে তা বলায় তো কোনও ভুল নেই। রিনাদি খুবই ভাল মানুষ।’’

এলাকার মানুষ জানান, রিনা সবার বিপদে পাশে দাঁড়ান। ২ মার্চ গুজরাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। ট্রেনেই দেখেছিলেন এ রাজ্যের প্রচুর যুবক শ্রমিকের কাজ করতে গুজরাতে যাচ্ছেন। তিনি গুজরাতে ১৬ দিন ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘গুজরাতে কর্মসংস্থানের অভাব নেই। রাস্তাঘাট, পানীয় জল ও নিকাশির পরিকাঠামো ভাল। চারিদিকে শান্তির পরিবেশ। মোদীর নেতৃত্বে ও বিজেপি সরকারের প্রচেষ্টায় গুজরাত এ রাজ্যের থেকে কয়েক হাজার গুণ এগিয়ে গিয়েছে। আমি চাই আমাদের রাজ্যেও এ রকম কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন হোক। তাই বিজেপিকে ভোট দিতে বলেছি।’’

Advertisement

রিনার বক্তব্য, তিনি বামপন্থার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। কিন্তু সিপিএমের আদর্শচ্যুতি হয়েছে। তবে রিনা বলেন, ‘‘এ বারও আমি সিপিএমকেই ভোট দিয়েছি।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, ‘‘সবার কথাই আমরা মন দিয়ে শুনি। আমাদের সমর্থকদের আমাদের উপরে বিশ্বাস রাখতেই বলছি।’’ তবে রিনার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত হাইস্কুল শিক্ষক বিশ্বেশ্বর বলেন, ‘‘গুজরাতের উন্নয়ন দেখে আমাদের পরিবারের সকলেই মোদীর ভক্ত হয়ে গিয়েছি।’’ রিনার ছোট ছেলে পেশায় আইনজীবী পিয়াল সাহা বলেন, ‘‘মা মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement