ক্ষমা চেয়ে নেব মানুষের কাছে, বললেন জ্যোতিপ্রিয়

লোকসভা ভোটে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র হাবরায় হেরে গিয়েছে তৃণমূল। জেলা সভাপতি হিসাবে দু’টি লোকসভা কেন্দ্রও হাতছাড়া হয়েছে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তাই ঠিক করেছেন হারবার মানুষের কাছেই জানতে চাইবেন, এলাকার প্রতিনিধি হিসাবে তাঁরা আর তাঁকে চাইছেন কি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০২:১০
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাগ, দুঃখ না অভিমান?

Advertisement

সরাসরি জবাব দিলেন না। শুধু বললেন, ‘‘দরজায় দরজায় গিয়ে জানতে চাইব, কোথায় খামতি ছিল আমার? কেন তাঁদের মন পেলাম না?’’

লোকসভা ভোটে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র হাবরায় হেরে গিয়েছে তৃণমূল। জেলা সভাপতি হিসাবে দু’টি লোকসভা কেন্দ্রও হাতছাড়া হয়েছে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তাই ঠিক করেছেন হারবার মানুষের কাছেই জানতে চাইবেন, এলাকার প্রতিনিধি হিসাবে তাঁরা আর তাঁকে চাইছেন কি না। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সঙ্গে ছিলেন এমন কিছু মানুষ এবার ভোট দেননি, এটা ঠিক। কেন, সেটা বুঝতে চাই। তাই ঠিক করেছি তাঁদের কাছে যাব। বলব, ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিন।’’ প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটেও গাজোয়ারির অভিযোগ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলেছিলেন তিনি।

Advertisement

হাবরায় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। স্থানীয় পুরসভাও তাদের দখলে। সেখানেই এই হারে ধাক্কা খেয়েছেন শাসকদলের হেভিওয়েট। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘হাবরার বাণিজ্যকেন্দ্রের সুপার মার্কেটে সম্প্রসারণের জন্য একটি টেক্সটাইল মার্কেট করছি। বাসস্ট্যান্ড, সুইমিংপুল, কংক্রিটের পাঁচটি বড় রাস্তা করেছি। কিন্তু তাতেও মানুষ এবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই কাজের উল্লেখ করে হাবরার দু’বারের বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘হ্যাঁ, দুঃখ পেয়েছি। কারণ বুঝতে পারছি না কেন, মানুষ আমাদের থেকে দূরে সরে গেলেন। তাঁরা না চাইলে আর হাবরার প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব নেব না। তবে বিজেপির বিপদ সম্পর্কেও বলব।’’

শুধু নিজের কেন্দ্র নয়, যে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপর চোখবন্ধ করে ভরসা করতেন, সেখানেও প্রত্যাখ্যাত জ্যোতিপ্রিয়। বড়মা আর ঠাকুরবাড়িতে ‘যত্নে’র ত্রুটি রাখেননি তিনি। তবু সেখানেও হেরে গিয়েছেন তিনি। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হার নিয়েও অভিমান তাঁর। বললেন, ‘‘জানি না, বনগাঁয় ঠিক করা উচিত ছিল।’’

এই জেলায় তৃণমূল ছেড়ে প্রার্থী হতে চেয়ে বিজেপির কাছে যাওয়া অর্জুন সিংহ হারিয়ে দিয়েছেন তাঁরই পুরনো দলকে। জেলা সভাপতি হিসাবে ব্যারাকপুর আসনের এই লড়াইও ছিল জ্যোতিপ্রিয়র কাছে মর্যাদার লড়াই। বললেন, ‘‘নৈহাটি, অশোকনগর, আমডাঙা, হাবরা আর গাইঘাটার মানুষের জন্য একটা বিশাল জলপ্রকল্পের কাজ করছে রাজ্য সরকার। তারপরেও এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আমাদের প্রত্যাখ্যানই বেশি।’’

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় দলের খারাপ ফল নিয়ে সামগ্রিক পর্যালোচনায় বসছে তৃণমূল। তবে এখন থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার কথা বলে দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement