নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে আলাপে লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার শ্যামবাজারে বিজেপির জনসমাবেশে রণজিৎ নন্দীর তোলা ছবি।
এক দিকে সহযোগিতার বার্তা। তবু হলদিয়ার সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে মৃদু খোঁচা দিতে ছাড়লেন না জাহাজমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।
এবিজি-র প্রস্থান পর্ব নিয়ে গডকড়ী বুধবার হলদিয়ায় বলেন, ‘‘এটা এ তল্লাটের একটি ‘ডার্ক স্পট’ (কালো দাগ)। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ফ্রান্সের একটি সংস্থাকে যে-ভাবে হলদিয়া ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’’ একই সঙ্গে ওই ঘটনা থেকে বর্তমান সরকারের দূরত্ব বজায় রাখতে তিনি জানান, ব্যাপারটা ঘটেছিল ইউপিএ সরকারের আমলে। ওই ফরাসি সংস্থা আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে গিয়েছে। তাঁর মন্ত্রক আদালতের বাইরে এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন বলে জানান গডকড়ী।
হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য নিলামের মাধ্যমে সংস্থা বাছাই হলেও তারা কাজ করতে পারছে না। আগেকার মতোই একচেটিয়া পণ্য খালাসের কারবার চলছে। গডকড়ী এ দিন হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘বন্দরে দুর্নীতি চলবে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি জানি দুর্নীতিগ্রস্তদের কীভাবে সোজা পথে আনতে হয়।’’ তিনি জানান, পণ্য খালাসে প্রতিযোগিতা আনা হবে। তার জন্য নতুন করে কিছু ভাবনাচিন্তা হচ্ছে।
জাহাজমন্ত্রী এ দিন হলদিয়ায় যে-সব অনুষ্ঠানের সূচনা করতে এসেছিলেন, বন্দরের নিজস্ব গাড়ি লোকো চালানোর জন্য বায়ো-ডিজেলের ব্যবহারের সূচনা তার অন্যতম। ইমামি অ্যাগ্রোটেক এই ডিজেল সরবরাহ করছে। মন্ত্রী হলদিয়ায় ওই কারখানা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, দেশে প্রতি বছর আট লক্ষ কোটি টাকার জ্বালানি তেল, গ্যাস আমদানি করতে হয়। বায়ো-ডিজেলের ব্যবহার যত বাড়বে, তেল আমদানি কমবে। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার শক্তিশালী হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, বায়ো-ডিজেলের ব্যবহার নিয়ে সরকার দ্রুত নীতি প্রণয়ন করছে। তাতে ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত গাড়ি, চাষ-আবাদের সরঞ্জাম চালাতে ১০০% বায়ো-ডিজেলের ব্যবহার আইনসিদ্ধ করা হবে। পরিবেশ-বান্ধব এই জ্বালানির ব্যবহার যত বাড়বে, ততই দূষণ কমবে বলে সওয়াল করেন তিনি। জানান, হলদিয়ায় শুরু হল। দেশের সব বন্দরেই বায়ো-ডিজেল ও অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে।