জলমগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। নিজস্ব চিত্র।
আশঙ্কা ছিল পুজোর শেষ দু’দিনে বৃষ্টি হবে।তবে শেষ পর্যন্ত পুজোর আনন্দ বৃষ্টি মাটি না করলেও, একাদশীর সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের। কলকাতা সহ, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে একাদশীর ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারেও গোটা দক্ষিণবঙ্গেই বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির গতি কমবে শুক্রবার থেকে। তবে রবিবারের আগে পরিষ্কার রোদ ঝলমলে আকাশ দেখবার আশা নেই।
কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগাম রবিবার থেকেই মিলতে পারে শরতের আসল আমেজ।আবহাওয়াবিদদের দাবি, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ থেকে বর্ষা সাধারণত পাকাপাকি বিদায় নেয় ১৫ অক্টোবর। কিন্তু এ বছর উত্তর পশ্চিম ভারতে মৌসুমী বায়ুর গতি স্বাভাবিকের থেকে মন্থর হওয়ায়, বর্ষা এখনও রয়ে গিয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ওড়িশা থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ঘূর্ণাবর্ত।
আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গের উপরও। ওড়িশা পর্যন্ত তা বিস্তৃত হওয়ায়, বঙ্গোপসাগর থেকে একটি হালকা দক্ষিণমুখী ঘুর্ণাবর্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তার জেরেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনও রয়ে গিয়েছে বরুণদেবের দাপট।
আরও পড়ুন- ‘লক্ষ্ণণরেখা’ ছাড়াব না, মান্নানের পাড়ায় পুজো দেখতে গিয়ে জানালেন ধনখড়
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খোলা যাদবপুরের বইয়ের স্টল
বুধবার ভোর থেকেই কলকাতার প্রায় সর্বত্র কয়েক পশলা ভারী বৃষ্টি হয়। শহরের কয়েক জায়গায় কিছু সময়ের জন্য জলও জমে যায়। এক পর বৃষ্টি কমলেও আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা থাকে। দুপুর গড়াতেই ফের অন্ধকার হয়ে যায় গোটা আকাশ। ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে। একই রকম ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেও। আবহাওয়াবিদদের আশা, শুক্রবার আকাশ মেঘলা থাকলেও, মাঝে মধ্যেই রোদের ঝলক দেখা যাবে। তবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আশার কথা একটাই। রবিবার থেকে আকাশ হয়ে উঠবে ঘন নীল। বৃষ্টিতে এমনিতেই তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে এসেছে। এর পর আকাশ পরিষ্কার হলে শরতের আসল আমেজ মিলবে। একাদশীর ওই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এ দিন পর পর প্রতিমা বিসর্জন হয় কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে। তবে বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা খুশি। উত্তর কলকাতার একটি পুজো কমিটির উদ্যোক্তা শান্তনু ঘোষ। তিনি বলেন,‘‘এখন বৃষ্টি হোক। আপত্তি নেই। উৎসবের সময়টা শুকনো ছিল। সবাই আনন্দ করতে পেরেছেন। ওটাই আসল।”