আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে আদালতে ৫১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতে পারে বলে খবর। আদালত সূত্রের দাবি, আগামী সোমবার থেকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের এজলাসে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে প্রতিদিনই মামলার শুনানি হবে বলেও খবর। সাক্ষী তালিকায় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যেরাও আছেন। এই মামলার রুদ্ধদ্বার শুনানিও (ইন ক্যামেরা) হচ্ছে। গত সোমবারএই মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। সে দিন খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শুনেছেন বিচারক।
গত ৮ অগস্ট রাতে আর জি করে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় এক তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়াকে। সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। পরে আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সিবিআই এই ঘটনার তদন্তের ভার নেয়। এখনও পর্যন্ত একমাত্র সঞ্জয়কে অভিযুক্ত করে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোর্টে দাবি করেছে যে, ‘বায়োলজিক্যাল এভিডেন্সের’ ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের দেহের নমুনা এবং অন্যান্য অনেক ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১২৮ জনের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে আদালতে নথি জমা দিয়েছে সিবিআই।
গত সোমবার চার্জ গঠন শেষে আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে প্রিজ়ন ভ্যান থেকে সঞ্জয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’ সে আরও জানায়, সরকার ও তার ডিপার্টমেন্ট তাকে ভয় দেখাচ্ছে। সে দাবি করে, ‘‘আমাকে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু দেখছি, এখন আমার বিরুদ্ধে সব বার করা হচ্ছে।’’ সে দাবি করে, সে খুন ও ধর্ষণ করেনি।