প্রতীকী চিত্র।
ফোনের ওপার থেকে ভারি গলায়, ‘‘শুনুন, আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় তরুণকুমার বসু বলছি। আমার একটা লোক আছে। ওঁর একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’’
যিনি ফোন ধরে ছিলেন, তিনি সেন্ট্রাল ওয়েস্টবেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন। ভেবে ছিলেন, সত্যিই হয়তো তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়। তাই আর কথা বাড়াননি। উল্টে বিনয়ের সঙ্গে ফোন রেখে দিয়েছিলেন। এ ভাবেই মাঝেমধ্যে ফোন করে ধমকাতেন ‘তরুণবাবু’। বলতেন, ‘‘কী হল, চাকরিটা হল না। কত দিন লাগবে?’’
কয়েক দিন পর সন্দেহ হয় চেয়ারম্যানের। এর পরই অভিযোগ দায়ের করেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়। ফোনের কল রেকর্ড এবং এসএমএস খতিয়ে দেখার পর তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঁড়িয়ে তরুণকুমার এর আগেও একাধিক প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতার উচ্চতম বহুতল ‘দ্য ৪২’-এ আগুন
বর্ধমানের রায়না থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দারা। জেরা করে জানা গিয়েছে, এর আগেও বহু বেকার যুবককে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঁড়িয়েও এভাবে চাকরি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ওই প্রতারক। এই চক্রে আরও কেউ জড়িয়ে আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: মাওবাদী বন্দির হাতে তৈরি কালীমূর্তি দিয়ে সংগ্রহশালা শুরু হচ্ছে দমদম জেলে
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)