হাতেকলমে ও পারের ইলিশের জাদু দেখাচ্ছেন শেফ জামাল হোসেন। ছবি: প্রতিবেদক।
শহর কলকাতায় বর্ষার দেখা নেই। কিন্তু, তাতে কী? বাঙালির পাতে কি তা বলে বর্ষার ইলিশ জুটবে না? দিকে দিকে এখন ইলিশ উৎসবের বাহার। এরই মধ্যে শনিবারহাওড়ার পাঁচলার এক রিসর্টে আয়োজন করা হয়েছিল দুই বাংলার ইলিশের হাট। আয়োজনে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ও ‘বাউল’।
এ বাংলার গঙ্গা আর ও বাংলার পদ্মার ইলিশ তামাম ইলিশপ্রেমীদের পয়লা পছন্দের। না হলে ইলিশ তো ভারতের নানা জায়গায় পাওয়া যায়। বস্তুত, এ দিন দুই বাংলার প্রেমে বাঁধা পড়ল ইলিশ। বললেন, বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের সরকারি শেফ জামাল হোসেন। হাতেকলমে ভাপা ইলিশ রান্নার কামাল দেখালেন তিনি। দেশি-বিদেশি অতিথিদের প্রচুর বাহবাও পেলেন। ভারতের শেফ নিখিল জানা তাঁর ঠাকুমার কাছ থেকে শেখা দই ইলিশের পদের জন্যওপ্রশংসিত হলেন।
হেরিটেজ আর পর্যটনের এক অপরূপ মেলবন্ধন ইলিশ। কেন আমরা ইলিশ সংরক্ষণ করব না? খোকা ইলিশ কেন খাব? তাই ইলিশ উৎসব নয়, বরং আমরা ইলিশকে হেরিটেজ ট্যুরিজম কুইজিনের আওতায় আনতে পারি। ইলিশ বাংলার আর বাঙালির ঐতিহ্য।কালে কালে এর স্বাদে আর পদে নানান বিবর্তন এসেছে। সেই বিবর্তন, ঐতিহ্য আর সংরক্ষণ— এই তিনের মেলবন্ধনের কাজ করছি আমরা। বললেন, ‘বাউল’-এর কর্ণধার সম্রাট চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাস্তবের ‘গালি বয়’কে চেনেন? ঢাকার বস্তি থেকে উঠে এখন বাংলা র্যাপের ধামাকা
আরও পড়ুন: ‘মজিদের একটা দৌড়, কেটে গেল মোহনবাগানের তিন-চার জন ডিফেন্ডার’
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হোসেন, কলকাতায় জাপানি কনসাল জেনারেল মাসাউকি তাগা, কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ব্রুশ বাকনেল, ইতালির কনসাল জেনারেল দ্যামিনো ফ্র্যাঙ্কোভ্যাক। এঁরা প্রত্যেকেই ইলিশের স্বাদে মুগ্ধ। নিজের দেশের সেরা স্বাদ অতিথিদের উপহার দিয়ে আপ্লুত প্রথমবার এদেশে আসা বাংলাদেশের শেফ জামাল হোসেন। তাঁর কথায়: “আমি গর্বিত, আজ আমি আমার দেশের মান রাখতে পেরেছি।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।