সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্য বা জাতীয় সড়কের দু’পাশে ৫০০ মিটারের মধ্যে বন্ধ হওয়া প্রায় সমস্ত মদের দোকান খোলার ব্যবস্থা করল আবগারি দফতর। এখন থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের তিন কিমি এবং পঞ্চায়েত সমিতি বা বিডিও অফিসের পাঁচ কিমির মধ্যে সড়কধারের মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকছে না। গত ২০ মার্চ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আবগারি দফতর। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্য বা জাতীয় সড়কের ধারে হলেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় মদের দোকান চালানো যাবে।
দিন কয়েক আগে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৮ টি উন্নয়ন পর্যদ এলাকায় রাজ্য বা জাতীয় সড়কের পাশে মদের দোকান খোলার কথা বলেছে আবগারি দফতর। রাজ্যে এখন প্রায় চার হাজার মদের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য বা জাতীয় সড়কের দু’পাশে ৫০০ মিটারের মধ্যে ছিল প্রায় দেড় হাজার দোকান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরে সেগুলি তখনই ‘সরকারিভাবে’ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। পর পর দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারির পরে এখন সেগুলি সবই খোলার ব্যবস্থা হল বলে দাবি সরকারের। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের আশপাশে অবাধে মদ ব্যবসা চালাতে দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থানীয়রা খুশি হবেন বলেই মনে করছেন আবগারি দফতরের কর্তাদের একাংশ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সিদ্ধান্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
এক আবগারি কর্তার কথায়, ‘‘উন্নয়ন পর্যদ এলাকা, গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসকে কেন্দ্র করে যে বাজার-হাট বসে, সেখানে মদের দোকান খোলা গেলেই যথেষ্ট। জাতীয় বা রাজ্য সড়কের ধারে জনমানবহীন এলাকায় মদের দোকান না থাকাটাই ভাল। সেই কারণেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’’
সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নির্দেশের পরে সমস্যায় পড়েছিল আবগারি দফতর। এক ধাক্কাতেই অনেক দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। মদ ব্যবসায়ীরা ফের সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রথম রায় ফের বিবেচনার আবেদন জানান। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের হাতেই মদের দোকানের স্থান চিহ্নিতকরণের ভার দেয়। সেই সূত্রেই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং উন্নয়ন পর্যদ এলাকায় মদের দোকান চালানোর ক্ষেত্রে যাবতীয় বাধা দূর করেছে আবগারি দফতর।