আরও সিবিআই আধিকারিক আসছেন রাজ্যে, আদালতে জানাল কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে প্রচুর মামলা। তদন্তের চাপও রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর। এই আবহেই বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) অশোককুমার চক্রবর্তী জানালেন, ৫ জন দক্ষ সিবিআই আধিকারিক কলকাতায় আসছেন। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা তো বটেই, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। একাধিক মামলায় রয়েছে রাজনৈতিক পরতও। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এএসজির আরও সিবিআই আধিকারিক আনার ঘোষণাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শান্তনু পান্ডার মামলায় এএসজি-র উদ্দেশে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, “সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি মামলা করে সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন। আর রাজনৈতিক বিরোধী হলে তো কথাই নেই। তারা সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন। কিছু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি থাকে। এই অবস্থায় সিবিআইকে নতুন তদন্ত দিতে আদালত উদ্বিগ্ন।”
এর প্রেক্ষিতেই এএসজি জানান, এই বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে। সিবিআইতে যে কর্মীর অভাব রয়েছে, তা মেনে নেন তিনি। তার পরেই জানান, বিপুল সংখ্যক মামলার চাপ সামলাতে অনেক অফিসার আনা হচ্ছে রাজ্যে। শীঘ্রই আরও ৫ জন দক্ষ অফিসার কলকাতায় আসছেন। তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করবেন।
বুধবার সৌমেন্দুর ঘনিষ্ঠ শান্তনু এবং কাকলি পান্ডার মামলায় কাঁথি থানার আইসি-র ভূমিকায় অসন্তোষ জানায় আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, “পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কাম্য নয় বলে মনে করে আদালত।” তাঁর নির্দেশ, ওই থানার সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারকে বক্তব্য জানাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানান মামলকারীরা। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, “এখনই সিবিআইকে তদন্তভার হস্তান্তর করা হবে না। আগামিদিনে এ নিয়ে আদালত বিবেচনা করবে।”