Anis Khan Death Mystery

Firhad Hakim: ফিরহাদকে আনিসের বাড়িতে যেতে বাধা, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিলেন গ্রামবাসীরা

আনিসের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে নিহত ছাত্রনেতার বাড়িতে পৌঁছতে পারলেন না রাজ্যের মন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২২ ১৮:১৮
Share:

ফিরহাদকে আনিসের গ্রামে ঢুকতে বাধা

আনিস খানের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে হাওড়ার নিহত ছাত্রনেতার বাড়িতে ঢুকতেই পারলেন না রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র।

Advertisement

কথা ছিল, বিকেলের দিকে আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন ফিরহাদ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। সেই মতোই আনিসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। গ্রামে ঢোকার পথেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ফিরহাদের কনভয়ের সামনে পড়েন এলাকাবাসীরা। তৃণমূল বিরোধী স্লোগান দিতেও শোনা যায় তাঁদের। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আনিসের মৃত্যুর পর ৪২ দিন কেটে গিয়েছে। এত দিন পর মনে পড়ল? আমরা তো ডাকিনি, কেন এসেছেন?’’

শুক্রবার সকালেই আনিসের বাড়িতে এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীরের ডাকা মিছিলে পা-ও মিলিয়েছেন আনিসের বাবা সালেম খান। আনিসের বাবার সঙ্গে দেখা করে প্রকৃত অপরাধীরা কেন এখনও ধরা পড়ল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কৃষক নেতা তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা। এর পরেই ফিরহাদ আনিসের বাড়িতে যেতে উদ্যোগী হলে ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আনিসের মৃত্যুতে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। ছাত্রনেতার রহস্য-মৃত্যুর পর রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু হলেও বর্তমানে তা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বাংলায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রামপুরহাটের হত্যাকাণ্ড। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পরিবারও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন সালেম।

বৃহস্পতিবার আনিসের দাদা সাবির বলেন, ‘‘রামপুরহাটের ঘটনা প্রমাণ করে এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছুই নেই। কোথাও শাসক দলের মদতপুষ্ট অপরাধীরা, আবার কোথাও পুলিশ শাসক দলের একাংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একের পর এক খুন করছে। কোনও ঘটনায় আসল অপরাধীরা ধরা পড়ছে না। রামপুরহাটে যে ভাবে বাড়িতে আগুন দিয়ে আট জনকে পুড়িয়ে মারা হল, তাতে আমাদের আর নিরাপত্তা কোথায়? আনিস খুন হওয়ার পর আমাদেরও হুমকি দেওয়া হয়। ভাবছি আমাদেরও না রামপুরহাটের মতো পরিণতি হয়!’’

সালেমও বলেন, ‘‘দুঃসহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। ছেলেকে খুনের ঘটনায় দোষীরা তো ধরা পড়লই না, উল্টে রামপুরহাট-কাণ্ড বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কী অবস্থায় আছে। আমরাও ভয় পাচ্ছি।’’

আনিসের মৃত্যুতে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। আমতা থানার এক হোমগার্ড এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতারও করেছে সিট। বসিয়ে দেওয়া হয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসিকে। গত ১৬ মার্চ কলকাতা হাই কোর্টে তদন্ত-রিপোর্টও জমা দিয়েছে সিট। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তারা এখনও অন্ধকারে বলেই দাবি করছে আনিসের পরিবার। শুধু তাই নয়, তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে এবং দোষীরা আদৌ সাজা পাবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান সালেম, সাবিররা। এই আবহেই মন্ত্রী ফিরহাদকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিলেন আনিসের গ্রামের মানুষেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement