ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিতর্কের মুখে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। একটি অনুষ্ঠানে তাঁর দাবি, “সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষার অগ্রগতির কথা বলা যদি অন্যায় হয়, তা হলে আমি নিশ্চিত ভাবে অন্যায় করেছি।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য নিয়ে অসন্তুষ্ট দলীয় নেতৃত্বকেও তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ‘সর্বশক্তিমানের কৃপা’য় সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরু হয়ে যাবে বলে যে কথা ফিরহাদ বলেছিলেন, তার সঙ্গে শিক্ষার অগ্রগতির কী সম্পর্ক, সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে শাসক দলের ভিতরে-বাইরে!
কয়েক দিন আগে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু সম্পর্কিত মন্তব্য করে বিরোধীদের নিশানা হয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ। শুধু তা-ই নয়, বর্ষীয়ান এই নেতার আচরণের নিন্দা করে কড়া অবস্থান নিয়েছিল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, তৃণমূল ওই মন্তব্যকে অনুমোদন করে না। এবং বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে দলের অবস্থানের পরিপন্থী হিসেবেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে ফিরহাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পর থেকেই কয়েকটি সরকারি অনুষ্ঠানে ফিরহাদের অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে দলের বিক্ষোভে গিয়ে ফিরহাদ দাবি করেছেন, ‘‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে সাম্প্রদায়িক তাস হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি। সব ধর্মকে হৃদয় দিয়ে সম্মান করি। কিন্তু আমার নিজের ধর্ম আমি ১০০% মানি।’’ সমালোচনার জবাবে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ্ ছাড়া কারও সামনে মাথানত করা যায় না। কর্মটাই হল আমার জীবন, আর সেটা করাচ্ছেন আল্লাহ্তালা। তিনি থাকতে আমার কোনও ক্ষতি হবে না। আর কাউকে পরোয়া করি না!”
দলের একাংশের ধারণা, এই মন্তব্যে দলের নিন্দা প্রসঙ্গেও নিজের মনোভাব স্পষ্ট করেছেন ফিরহাদ।