প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন তিন সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ দফতর।
বিষয়টি জানাজানি হতেই চিন্তিত ওই তিন সংস্থার— কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ), কলকাতা মেট্রোপলিটান ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি (কেএমডব্লিউএসএ) এবং হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (এইচআইটি)-এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। হঠাৎ কী কারণে এই চিঠি, পেনশন দেওয়া নিয়ে সরকারের অবস্থান বদলের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, এমন নানা প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে তাঁদের মনে।
প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মীরা পাবেন কিনা, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে কিনা, সেই প্রশ্নে মামলা গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। এই প্রেক্ষিতে অর্থ দফতরের চিঠিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ওই তিন সংস্থার পেনশনভোগীরা। যদিও চিঠিতে লেখা রয়েছে, একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে সেটি পাঠানো হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর পুর ও নগরোন্নয়ন সচিবকে দেওয়া অর্থ দফতরের পেনশন শাখার ডেপুটি সেক্রেটারির পাঠানো চিঠিতে (নম্বর ৮৯৩-এফ(পেন)/এন/এফ/১পি-২৬৫/২০২৩) তিন সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। যেমন, পেনশনের ব্যয়ভার কারা বহন করে, গত দু’বছর কোন খাত থেকে পেনশন দেওয়া হয়েছে, গত দুই অর্থবর্ষে পেনশন খাতে কত ব্যয় হয়েছে, পেনশনের মোট ‘কমিউটেড ভ্যালু’ (যদি প্রযোজ্য হয়) কত, চলতি অর্থবর্ষে অবসরপ্রাপ্ত এবং অবসর নিতে চলেছেন, এমন কর্মীর সংখ্যা কত, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতর নিজস্ব ‘সোর্স’ থেকে পেনশনের অর্থ দিতে পারে কিনা, ইত্যাদি।
বিষয়টি জানাজানি হতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পেনশনভোগীরা। ডেভেলপমেন্ট এমপ্লয়িজ় জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধু নাগের প্রশ্ন, ‘‘তিন সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা কম-বেশি ছ’হাজার। বহু আগে সংস্থাগুলির নিজস্ব পেনশন তহবিল গড়ার কথা বলা হয়েছিল। তখন সরকার কিছু করেনি। এখন হঠাৎ এই সব তথ্য চাওয়ার পিছনে কোনও অভিসন্ধি রয়েছে কিনা, জানতে চাই। এই চিঠি আমাদের কাছে অশনি সঙ্কেত। পেনশনে কোপ পড়বে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে দফতরে চিঠি লিখব।’’
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলেও তা বেজে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন লিখে তাঁকে মেসেজ পাঠানো হলে মন্ত্রী লেখেন, ‘প্রশ্নগুলির ব্যাখ্যা দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।’