Father and Son Died in Belur

বাড়ির মেঝেতে পড়ে ছেলের দেহ, বাইরে বাবার ঝুলন্ত দেহ! বেলুড়ে পিতা-পুত্রের রহস্যমৃত্যু

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা-ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন। প্রথমে ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। সেটা দেখে বাবাও আত্মহত্যা করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫৮
Share:
bodies

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাবার মৃত্যুর খবর দিতে গিয়ে ছেলের দেহ উদ্ধার করলেন স্থানীয়েরা। একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শনিবার শোরগোল হাওড়ার বেলুড়ের ঠাকুরনপুকুর এলাকার গিরিশ ঘোষ রোডে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বৃদ্ধ বাবা এবং যুবক ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে এবং কেন বাবা-ছেলে নিজেদের শেষ করে দিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সুভাষ পাল এবং অজিত পাল। সুভাষের বয়স ৭৫ এবং অজিত ২৮ বছরের। শনিবার সকালে প্রার্তভ্রমণে বেরিয়ে পুকুরের ধারে একটি গাছে বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান কয়েক জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আরও লোক জড়ো হন। চিহ্নিত করা হয় মৃতদেহ। মৃত সুভাষের বাড়িতে খবর দিতে ছোটেন কয়েক জন। কিন্তু সেখানে গিয়ে আর এক চমক। দেখা যায়, গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় বাড়ির মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তাঁর ছেলে। ওই যুবক সিলিং ফ্যান থেকে গামছা ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধার হয় দু’টি দেহ।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা-ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন। প্রথমে ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। সেটা দেখে বাড়ির বাইরে গিয়ে পুকুরের ধারে গাছে গামছা ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নেন বৃদ্ধ।

Advertisement

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সুভাষের স্ত্রী মারা গিয়েছেন বছরখানেক আগে। বাড়ির সদস্য বলতে বাবা-ছেলে। অজিত একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ঠিক কী কারণে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ দু’টি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক মৃত্যু নিশ্চিত করার পর দু’টি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে জোড়া মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে বেলুড় থানার পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement