—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এই সন্দেহে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। মারধর করায় স্ত্রীও বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন চার বছরের মেয়েকে স্বামীর কাছে রেখে। এমতাবস্থায় স্ত্রীকে শাস্তি দিতেই নিজের শিশুকন্যাকে খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যুবক। জেরায় তিনি এমনটাই জানিয়েছেন বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
নিজের চার বছরের মেয়েকে রাস্তায় আছাড় মেরে খুনের পর জলঙ্গি নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন বাবা বুদ্ধদেব ঘোষ। পরে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নদিয়ার ধুবুলিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধদেব পেশায় রংমিস্ত্রি। কাজকর্ম সে ভাবে না থাকায় সংসারে আর্থিক টানাটানি ছিল। তার সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের বশে অশান্তি। দোলের দিন সকালে এ নিয়ে স্ত্রীকে মারধরও করেছিলেন বুদ্ধদেব। ধৃত জেরায় জানিয়েছেন, অশান্তির পর মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু বুদ্ধদেব মেয়েকে নিজের কাজেই রেখে দেন। তাঁর আশা ছিল, মেয়ের টানেই হয়তো স্ত্রী ফিরে আসবে। কিন্তু তা না হওয়ায় রাগে, ‘প্রতিশোধ’ নিতে মেয়েকে মেরে ফেলেছেন তিনি।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয়কুমার মাকওয়ান বলেন, ‘‘ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।’’