নজরে জনজাতি, ব্রিগেডে দেবলীনা

পঞ্চায়েত ভোটের ফলে যার ইঙ্গিত মিলেছে। রাজ্যের জনজাতি অঞ্চলে এই গেরুয়া প্রবেশ মাথায় রেখেই এ বার ব্রিগেডে অনগ্রসর শ্রেণির নেত্রী এবং প্রাক্তন মন্ত্রী দেবলীনা হেমব্রমকে বক্তা করছে সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩০
Share:

দেবলীনা হেমব্রম। ফাইল চিত্র।

এক কালে জনজাতি এলাকায় প্রায় নিরঙ্কুশ প্রভাব ছিল বামেদের। তৃণমূলের কাছে সেই জমি হারাতে হয়েছিল। সম্প্রতি আবার জনজাতি এলাকায় শাসক দলের প্রতি নানা অসন্তোষ মাথা চাড়া দিচ্ছে, জমি তৈরি করছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের ফলে যার ইঙ্গিত মিলেছে। রাজ্যের জনজাতি অঞ্চলে এই গেরুয়া প্রবেশ মাথায় রেখেই এ বার ব্রিগেডে অনগ্রসর শ্রেণির নেত্রী এবং প্রাক্তন মন্ত্রী দেবলীনা হেমব্রমকে বক্তা করছে সিপিএম। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেডে তিনিই একমাত্র মহিলা বক্তা।

Advertisement

এর আগে রাজ্য সিপিএমের মহিলা সংগঠন থেকে রেখা গোস্বামী ব্রিগেড সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন। তবে মহিলা ও জনজাতিদের প্রতিনিধিদের নেত্রীর ব্রিগেডে সুযোগ পাওয়া স্মরণযোগ্য কালের মধ্যে প্রথম। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে মোহভঙ্গ হচ্ছে। বীরভূমে সোমবারও তাঁরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি তাঁদের কাছে টানার এবং বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা তাঁদের বোঝাতে চাই, বিজেপি ও তৃণমূল দুই শক্তি একই মুদ্রার দুই পিঠ এবং সমান বিপজ্জনক!’’ দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ও বাঁকুড়ার রানিবাঁধের প্রাক্তন বিধায়ক দেবলীনাদেবীকে দিয়ে জনজাতি এলাকার মানুষের দাবি-দাওয়ার কথাই ব্রিগেডের ময়দানে তুলে ধরতে চায় সিপিএম।

লোকসভা ভোটের আগে এ বারের সমাবেশের অভিমুখও কৃষক এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের দিকে রাখতে চাইছে বামেরা। সমাবেশ উপলক্ষে যত পোস্টার এবং সামাজিক মাধ্যমে ভিডিয়ো ছড়ানো হচ্ছে, তার অধিকাংশেরই কেন্দ্রে কৃষক ও প্রান্তিক মানুষ। শ্যামবাজারে মঙ্গলবার ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভায় গিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, মিথ্যা দাবি বা ধর্মীয় বিভাজনের বাইরে গিয়ে মানুষের রুটি-রুজির লড়াইয়ের দিকে তাঁরা কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারের নজর টানতে চান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement