—ফাইল চিত্র।
হজের খরচ বাড়ছে অনেকটাই। তবে বাড়ছে না বাংলা থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা। বহু সংখ্যক আবেদন পড়লে লটারির মাধ্যমে হজ যাত্রী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটি। ২০২১-এর হজযাত্রার যে পরিকল্পনা এখনও তৈরি হয়েছে তাতে এ বার রাজ্য থেকে ৩৫০০-৪০০০ জন হজে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। গত বার বাংলা থেকে মক্কা-মদিনা গিয়েছিলেন ১৭ হাজার ৮৩৫ জন। শেষ হজযাত্রা হয়েছে ২০১৯-এ। সে বার জন প্রতি খরচ পড়েছিল ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। এ বার হজে যেতে হলে সরকারের ঘরে দিতে হবে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১ লক্ষ ১০ টাকা বেশি। খরচ আরও বাড়তে পারে বলে হজ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য হজ কমিটির তরফে জেলাশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ইচ্ছুক যাত্রীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০০ টাকার বিনিময়ে আবেদন জমা দেওয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সৌদি সরকার এ বার হজের সময় ভিড় এড়াতে নানান পদক্ষেপ করেছে। ২০২১-এর হজে ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সিরা যেতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি বয়স্করা আপাতত হজে যেতে পারবেন না। মক্কা-মদিনাতে ৩০-৩৫ দিনের হজযাত্রা হবে এ বার। মক্কার আজিজিয়াতে এক একটি ঘরে থাকতে পারবেন ৩ জন তীর্থযাত্রী। ভারত থেকে খুব বেশি হলে ৫০ হাজার যাত্রীকে হজে যাওয়ার অনুমতি দেবে সৌদি সরকার। ভারত থেকে আগে অন্তত ২ লক্ষ যাত্রী হজে যেতেন।
রাজ্য হজ কমিটির এক কর্তা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বার এক জন হজ যাত্রীর জন্য ৪ বর্গমিটারের থাকার ব্যবস্থা করা হত। এ বার করোনার জন্য দূরত্ব-বিধি মানতে গিয়ে ৯ বর্গমিটার স্থানে এক জন ব্যক্তির থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। সে জন্য আজিজিয়াতে একটি ঘরে মাত্র ৩ জন থাকতে পারবেন, আগে ৫-৬ জন একই ঘরে থাকতে পারতেন। এ বার যাওয়ার আগে প্রত্যেক যাত্রীর করোনা পরীক্ষা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তার পর তাঁদের মক্কা যাওয়ার অনুমতি মিলবে। যাওয়ার আগে, মক্কা গিয়ে এবং হজ করে ফেরত আসার পরে বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনে থাকতে হবে হাজীদের। কাবার কাছাকাছি যে গ্রিন জ়োন তৈরি হত, এ বার তা তুলে দিয়েছে সৌদি সরকার। এই সব বিধি মানতে গিয়ে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন হজ কমিটির কর্তারা। ভারত সরকারের ভর্তুকিও সেই অর্থে এখন আর নেই। ফলে ২০২১-এ হজে যেতে হলে সরকারি খরচ ও আনুষঙ্গিক খরচখরচা ধরলে জন প্রতি প্রায় সাড়ে চার লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে বলে মনে করছেন কর্তারা।