রাজীব ওঁরাও ও মণীশ ওরাঁও। — নিজস্ব চিত্র
বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর আর পেট ব্যথায় ভুগছিল একজন। অন্যজন আক্রান্ত হয়েছিল জন্ডিসে। ধওলাঝোড়া চা বাগানের বাসিন্দা দশম ও নবম শ্রেণির পড়ুয়া এই দুই ছাত্রকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়নি তাদের পরিবার। বরং ডেকে আনা হয়েছিল ওঝাকে। দিন পনেরো ধরে চলে জলপড়া, তেলপড়া, মাদুলি-মালার পর্ব। শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। বিনা চিকিৎসায় মরতে হল স্থানীয় লোকনাথপুর হাইস্কুলের দুই পড়ুয়াকে। ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ার শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দুরে শামুকতলার ধওলাঝোরা চা বাগানের শ্রমিক মহল্লা। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পরেও প্রতিবেশীদের তুকতাকেই সন্তানহারা হয়েছেন বলে বিশ্বাস পরিবারের। জানা গিয়েছে দু সপ্তাহ ধরে পেট ব্যথা ও জ্বরে ভুগছিল রাজীব। বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হয়। মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে প্রতিবেশীরা চা বাগানের হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শুরু হওয়ার মুহূর্তেই মৃত্যু হয় রাজীবের।
নবম শ্রেণির ছাত্র মণীষ দীর্ঘদিন ধরে জন্ডিসে ভুগছিল। অভিযোগ, তাঁকেও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ঝাড়ফুক চালানো হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় পুষ্টিকর খাবারও। মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তার।